পিপিডি ক্লাব

“এই শোন তোকে কিন্তু একটা ম্যাসেজ গ্রুপে এড করেছি। পিপিড ক্লাব! তুই তো মাদারহুড রিলেটেড কোনো গ্রুপে থাকাই পছন্দ করিস না। এই গ্রুপে সবাই কিন্তু আমাদের পরিচিত। মাত্র ক্লোজ পাঁচজন। তোকে কিন্তু থাকতেই হবে।“ জোর গলায় বললো ঝুমা।

“ভাই সাধে কি আর থাকিনা?
একজন লিখবে, ‘আপু আমার বাচ্চাটার না কষা পায়খানা ৪দিন ধরে।‘ আরেকজন বলবে ‘এটা চিন্তার কী হলো। আমার বাবাইটা তো ২০ দিন ধরে বাথরুমই করে না।‘ আরেকজন বলবে, ‘আপনি মা নাকি অমানুষ! ২০ দিন ধরে বাথরুমে যায় না আর আপনি রঙ এর ছবি আপলোড করেন ফেইসবুকে!’ এরপর কমেন্ট আসবে, ‘আপি, ৪দিন বাথরুমে না গেলে তুমি এখনো বাসায় বসে আছো কেন? ওর কিন্তু ইউরিনে ব্রেইন ক্যান্সার হবার পসিবিলিটি আছে। বা যদি হাটুতে হার্ট এটাক করে। আহারে সোনা বাবুটা।

আঈশার কথা ঝুমার অট্টহাসির আড়ালে হারিয়ে যায়।

“বুঝছি মনা। তোমার নানা মুনির নানা মত পছন্দ না। এখানে অতো মতামতের কিছু নাই। আমি,তুই,শাওলি,স্বর্ণা আর ফাতিমা –মানে আমরা যারা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন ফেইস করছি তারা একসাথে সুখ-দুঃখের গফ-সফ করুম আরকী।”

“এক কথায় গীবতের আসর?”
“জ্বী না। আমরা নামও উল্লেখ না করে নিজেদের প্রবলেম শেয়ার করবো। একজন আরেকজনকে সান্তনা দিবো আরকী।“
“হুম্ম। দেখি তোমরা কী আলাপ করো। তোমাদের তো আমাকেই দেখে রাখতে হবে।“ আঈশা বিজ্ঞের হাসি দেয়। ঝুমা বিদায় জানিয়ে ফোন রেখে দেয়। আর আঈশা ম্যাসেজ চেক করতে বসে যায়।

“বাচ্চা হওয়াও শেষ, আমার কদরও শেষ বুঝলি?”

শাওলি মুখ বাঁকায়। “হিহি। ইহা তো কাহানি ঘার ঘার কি। জা আর আমি আগে পরে কনসিভ করলাম। বাচ্চা পেট থেকে নামলো আমার। আমার যত্নও শেষ। এক গ্লাস দুধ খেতে গেলেও শুনতাম এটা ওর। আমার স্বামীও তো মা শা আল্লাহ একখান, প্রেগন্যান্সির সময়ও খাওয়া দাওয়ার যত্ন নিতো না। আর বাচ্চা হয়ে গেলে আর কিভাবে আশা করি।”

দু:খের দীর্ঘশ্বাস ফেললো স্বর্ণা। “এই গীবত হচ্ছে কিন্তু। আমরা কিন্তু নাম ধরে কারো নামে কিছু বলবো না। এখানে আমরা কষ্ট শেয়ার করতে এসেছি। গীবত করে নিজের ভালো আমল কাউকে দিয়ে দিতে না।”

ঝুমার শাসানোতে সবাই একটু চেপে বলা শুরু করলো। সবাই চেপে বললেও আঈশা ঠিক বুঝতে পারছে, কে কার নামে বলছে। ও চুপচাপ শুনে যাচ্ছে অস্বস্তির সাথে।

ফাতিমা মুখ খুললো, “একেকজনের স্ট্রাগল একেক রকম। ঘর ভর্তি গাইর মাহরাম। আমি চুপচাপ বাচ্চা নিয়ে আমার ঘরে বসে থাকতাম। বাচ্চা হলে প্রাইভেসী কতোটা কমে যায় তাতো জানিসই। হুটহাট সবাই দরজা খুলতো, মানে মহিলারাই খুলতো। আমার খাটটা এমন জায়গায়, বাচ্চার ন্যাপি বদলাবো নাকি সরে যাবো আগে দরজার সামনে থেকে – এমন ধরনের দোটানায় পড়তাম…”

“আর প্রাইভেসী ভাই! হাজবেন্ড ওয়াইফ একসাথে থাকলেও বাচ্চার উপর নজরদারিতে ঢুকে যাচ্ছে ঘরে। কী লজ্জা! এসব থেকে যেনো আমরা শিক্ষা নেই। নিজেদের ছেলের বউদের একটু স্পেইস দেই।”

ঝুমা চা ঢালতে ঢালতে বলে। ফাতিমা আবার শুরু করে, “আর খাওয়া-দাওয়া? যখন খাবার টেবিলে যেতাম পর্দার কারণে তো আমি একঘরে। বাইরে বের হলে তাড়া, দ্রুত খেতে হবে। আমার পর আর কেউ বসবে। কখনো শেষ হতে না হতেই প্লেট হাত থেকে টেনে বেসিনে রেখে আসা হতো। ওই একলা ঘরটা আমার অভিশপ্ত লাগতো রে। সবসময় মনে হতো একটু আলো আসুক এই ঘরে।” বলতে বলতে গলাটা যেনো একটু ধরে আসে ফাতিমার।

আঈশা চিনে ফাতিমার শাশুড়ি-ননদকে। খুব বিবেচক ওরা, ওদেরই এমন অবস্থা! অবাক লাগে।

“খাওয়া দাওয়া সব বাচ্চা হওয়ার আগে। কত কিছু যে আইনা সামনে দিতো। ভালো না লাগলেও বাচ্চার কথা ভাইবা খাইছি। বাচ্চা পেটে আসার আগে এর অর্ধেকও খাই নাই। তাও শুনছি ওর ওয়েট কম আসছে নাকি আমার জন্যে। কদর বলেও তো একটা কথা আছে নাকি?” শাওলি ঝাঁঝের সাথে বলে।

“যত দোষ মা ঘোষ। সিজারের এক মাসও হয় নাই মায়ের ওখান থেকে চলে আসছিলাম। জা এর টেইক কেয়ার করতে করতে আমার কোনো যত্নই হতো না। আমার রুমে সবাই আসতো জাজ করতে। “তুমি পারো না।”… “তুমি জানো না”…”তুমি অলস, বাচ্চাকে সকালে উঠে রোদে দাও না।” সিজারের ব্যাথা নিয়ে যখন প্রতিদিন সকালে রোদে দিতাম আমি, নাম হইতো জামাই এর।

“বাচ্চার ব্যাপারে ওর উপর ডিপেন্ডেন্ট হবা না”..”বিছানার উপর এটা কেন, বাবু গিলে ফেলে এক্সিডেন্ট হবে।”…এই সেই… কতো বাণীরে ভাই। অথচ বাবুর সবই করতাম আমি। হায়রে মানুষ” স্বর্ণা মুখ কালো করে বলে। “যত্নের কথা আর বইলো না ফ্রান্স। যখন বাবু পেটে তখন বেশি খাইতে দিতো না। কারণ বাচ্চা বড় হয়ে যাবে। সিজার করা লাগবে। শেষমেশ তো সিজারই হইলো। বাচ্চা ঠিকমতো দুধ পাচ্ছে না, এর জন্যে গাদা গাদা ভাত খাইতে হতো। যে আমি ভাত খেতেই পারি না, তার জন্যে এটা যে কী কষ্টের।

‘বাচ্চা এনাফ দুধ পাচ্ছে না’ এটা মনে হয় আমার সব গায়ের মাহরাম রিলেটিভরাই জানে। কী ডিসগাস্টিং। “

ঝুমা বললো। “সবাই কথা বলছি আঈশা চুপ কেন? তুই কিছু বল?” ফাতিমা খেয়াল করেছে অনেকক্ষণ ধরে আঈশা চুপচাপ। “ওর মনে হয় ওষুধের ঝিমানি চলতেছে রে।” হাহা করে হেসে দেয় শাওলি। অন্যরাও তাল মিলায়। পোস্টপার্টাম সাইকোসিসের জন্যে এন্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ চলছে আঈশার। ওরা জানে সেটা।

আঈশা বলে, “কী বলবো। আমার তো নিজের বাসায় থেকেই পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন হয়েছে।

শ্বশুড়বাড়ির বদনাম কী প্রাণ খুলে করলি তোরা। বাপের বাড়িরটা কেমনে করি বল?”

“বাপের বাড়িতে পিপিডি! তোর এতো ভালো ফ্যামিলিতে! ক্যামনে কী?” “রামিন এট্টুনি হয়েছিলো জানিস তো? দ্বিতীয়দিন হসপিটালে দেখি ও একটু কাঁপছে। মাঈশা আপুই প্রথম দেখে। ডক্টর বললো ফর্মুলা মিল্ক দিতে হবে সাথে। শালদুধে বাবুর হচ্ছে না,ওজন কম তাই। ওজন ঠিক থাকলে তো তিনদিন না খেয়ে থাকলেও কিছু না। বাবুর গ্লুকোজ কমে যাচ্ছিল। বাবুকে নিকুতে নেয়া লাগতে পারে। বাবু নিকুতে যাবে আর আমি বাসায়- এটা আমি মেনে নিতে পারছিলাম না। সেই থেকেই ডিপ্রেশনের বীজ ভেতরে ঢুকছিল। আর সিজারের পেইন তো আছেই। বাথরুমে যেতেও আরেকজনের হেল্প লাগছে। যাই হোক, বাবুকে আর নিকুতে নিতে হয়নি। কিন্তু মাঈশাপু সবকিছুতেই বলতো, বাবুর এই সমস্যা,ওই সমস্যা, হসপিটালে নিয়ে যাও। মাও তাল দিতো।

আমার সারাক্ষণ আতংক লাগতো। বাবুকে মনে হয় নিকুতে নিতে হবে। একদিন তো রাগের চোটে বলেই ফেললাম, তুমি কি কখনো বাচ্চা দেখনি?”

“ইশ কী করেছিস রে। মাঈশাপির না বেবি নেই। আপি কষ্ট পেয়েছে না অনেক? বাবুকে ভালোবাসে বলেই না বলতো।“ ঝুমা আফসোস করে।

“জানি তো সবই। মেজাজটাতো কন্ট্রোলে থাকে না। এই সমস্যা।“ আঈশা সায় দেয়।

ঝুমার বাসায় পিপিডি ক্লাবের গেট টুগেদারে এসেছে সবাই। শুধু ম্যাসেজে কতটুকুই বা প্রকাশ করা যায়।

পিপিডি ক্লাবের আড্ডা শেষে রিকশা নেয় আঈশা। আঈশা নিজের পরিবার নিয়ে যাই বলুক, কেউ তেমন গা করেনি। নিজ পরিবারের সবাই তো ভালোবাসা থেকেই করে সব। আর বাচ্চার দাদাবাড়ির সবাই অন্য গ্যালাক্সির মানুষ, তাই বাচ্চার চিন্তায় বলা কথাগুলো শেষমেষ মায়ের প্রতি ভালোবাসাহীনতায় রূপ নেয়।

আঈশা কী ভালোবাসায় ডুবে ছিল শশুড়বাড়িতে? তা নয়। দেবর আছে বলে পর্দা করে রান্নাঘরে ঢুকলে শাশুড়ি ভয় পেতেন কখন না আগুন লেগে যায় কাপড়ে। এইজন্যে আঈশাকে কোনোদিন রান্নাঘরে ঢুকতেই দেননি।

ও সারাদিন বাচ্চা নিয়ে থাকতো। কিন্তু কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে ঠিকই বলতেন, “শুয়ে বসে থাকা মানুষ আমি একদম দেখতে পারিনা।”

রামিনের আব্বু মায়ের নামে একটা কথা শুনতে চাইতো না। শুধু বলতো, “তুমি কি আমাদের মা-ছেলের ভাংগন চাও?” কষ্টগুলো যখন মাত্রাহীন হয়ে যেতো আঈশা কেঁদে কেঁদে বলতো, “আমাকে একটু রং পেন্সিল কিনে দিবা?”

ওর কেন যেন মনে হতো রং দিয়ে ঘষে ঘষে সব কষ্ট ছড়িয়ে দিবে। নিজের ভেতরটা হালকা হয়ে যাবে। শুধু বাপের বাড়ি আর শ্বশুড় বাড়ি না, রামিনের বাবার থেকেও কম কষ্ট পায়নি আঈশা। হসপিটাল থেকেই কষ্টের শুরু। সিজারের ব্যাথায় এক দিক থেকে আরেক দিক ফিরতে পারতো না। বাবুকে খাওয়াতে সে কী কষ্ট। আর বাবুর বাবা বলতো,’ আসলে মা’দের একটা ট্রেইনিং হওয়া দরকার। বাচ্চাকে খাওয়াতেও পারতেছো না! ‘

এই প্রত্যেকটা মানুষই আবার প্রচুর ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখেছিল। মাঈশা আপু গোসল পর্যন্ত করিয়ে দিতো সিজারের ব্যাথার দিনগুলোতে। মা এতো করতো তবু মা’র সাথেই বেয়াদবি করতো আঈশা। দিনশেষে রামিনের বাবা ক্লান্তিতে শরীর ভেংগে আসলেও রামিনকে নিয়ে রাখতো। ভালোলাগা আর খারাপ লাগা মিলেমিশে একাকার অনুভূতি হচ্ছে আঈশার। সব বলে হালকা হতে চেয়েছিল। তবু কেন মন খারাপ আরো চেপে বসছে। ছোটখাটো সব মন খারাপের ঘটনার ফ্ল্যাশব্যাক হচ্ছে যেন মগজে।

সাইকোসিসের কষ্টের দিনগুলো ভুলতে পারে না। সবার উপর প্রচন্ড রাগ হতো, বাবুকে একদিন গলা টিপে মেরে ফেলতে গিয়েছিল। মাঈশা আপু ঠেকিয়েছিল সেদিন। এরপর থেকে নিজেকে এতো খারাপ মা মনে হতো যে আত্মহত্যা করতে যেতো।

“এতো নামায কুরআন পড়ে তোমার কী লাভ, নিজের বাচ্চাকে খুন করতে চাও।“ বাবুর বাবার কথাগুলো শেলের মতো বিঁধতো। তারপর সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে গেলো। ওষুধগুলো অনূভুতি কেমন ভোতা করে দেয়। বাবুর কান্না বা সবার মন্তব্য কোনোটাই তেমন তীব্র অনুভূতি দেয়না আর। কিন্তু আজ এতো রকম কথা শুনে কেমন যেন লাগছে। ওষুধের ঘোর কী কেটে যাচ্ছে। নাম না উল্লেখ করে যত কথাই হোক না কেন, বোঝাই যায় কারা আসামী। কল্পনায় বাড়ে বাড়ে তাদের চেহারা ভেসে উঠে আর মনে হয়, “এতোটা অবিবেচক মানুষ হয় কী করে”! রামিনের বাবার মতো ওরও মনে হতে থাকে ট্রেইনিং হওয়া উচিৎ সবার, বাচ্চার আশেপাশের সবার।

রামিনের ডায়াপার পালটে নেট অন করে আঈশা। নোটিফিকেশনের শব্দে রামিন উৎসুক হিয়ে তাকায়। একের পর এক ম্যাসেজ আসছে,ম্যাসেজের স্রোত যেন। ঝুমা আর স্বর্ণার ধুন্ধুমার লেগে গেছে। স্বর্ণা ওর জা’র সাথে ছবি আপলোড করে লিখেছিল, “Sister from another mother”. তা নিয়ে পিপিডি ক্লাবে ঝুমা লিখেছে, “কিরে এই না তোর প্রশংসা নিতে পারতো না, তোর কনসিভ করার পর তোর যত্ন-আত্তি দেখে হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরতো। তোর রান্নায় হিন্দি সিরিয়ালের স্টাইলে লবণ ও মিশিয়েছিল? এতোখাতির হলো কিভাবে রে?”

“মানে কী ঝুমা? ফ্যামিলিতে এমন অনেককিছুই হয়। তাই বলে একসাথে চলবো না নাকি? আর আমি তো শিওর বলিনি যে ওই লবণ দিয়েছিল। আমিই হয়তো মনের ভুলে বেশি দিয়ে ফেলেছিলাম।”

“হিহি। বাহ! তাইলে শশুড় বাড়ির লোকদেরকেও ফ্যামিলি মেম্বার হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছিস?”

“আমার হাজবেন্ডের ফ্যামিলি কি আমার ফ্যামিলি না? তুই যে তোর শাশুড়িকে নিয়ে দুই হাত লম্বা তেলমারা স্টেটাস দিলি সেদিন,ওইটা নিয়ে তো আমি কথা তুলি নাই রে। এখানে তো ঠিকই উনার নামে কতো কী বলিস!”

“আমি কোনোদিন নাম ধরে কারো নামে কিছু বলছি? আন্দাজে দোষ দিবি না। আমি স্ক্রিনশট দিতে পারবো।”
শাওলি হঠাৎ স্বর্ণার পক্ষে চলে যায়। “তোর বাসায় তোর শাশুড়ি ছাড়া আর কেউ আছে? আমরা কি সেরেলাক খাই নাকি রে? ভালো মানুষ হওয়া এক কথা আর ভালো মানুষ সাজা আরেক কথা, তাইনা?”

আঈশার বেস্ট ফ্রেন্ড ঝুমা। আঈশাও থেমে থাকলো না। শুধু ফাতিমা কয়েকবার সবাইকে থামতে বলে চুপচাপ সব ম্যাসেজ সিন করলো, যেন পপকর্ন খেতে খেতে ঝগড়া দেখছে। মাঈশা আপুকে নিয়েও উল্টাপাল্টা মন্তব্য করছে স্বর্ণা। আঈশার মনে হচ্ছে শেয়ারিং এর জন্যে এই গ্রুপে আসাটাই ভুল হয়েছিল। একটা আপু একবার বলেছিল, উপরের দিকে থুতু মারলে নিজের গায়েই লাগে। ফ্যামিলির কথা আরেকজনের কাছে বলে কি বিচ্ছিরি কাঁদা ছুড়াছুড়ির মাঝেই না পড়েছে।

ঝুমা গ্রুপটা ডিলিট করে দিল। আর স্টেটাস আপডেট করলো, “দিনশেষে হাজবেন্ডই পাশে থাকে।” ফিলিং ব্লেসড। শাওলি পালটা স্টেটাস লিখলো, “হাজবেন্ড যখন একই রুমেই থাকে, তাকে রোমান্টিক কথা না বলে ফেইসবুকে দেয়ার শো অফের কালচারটা ‘হাইস্যকর। এটা এই জাতির জন্যে হাইস্যকর।’ “