মা হওয়া ৫: ঘুম

সেদিন একজন আপু মেয়ের একটা মজার ছবি আপলোড করলেন। সাত মাসের মেয়ে ওয়াকারে খেলতে খেলতে যখন টায়ার্ড হয়ে গিয়েছে, তখন দাঁড়ানো অবস্থাতেই এক পাশে মাথা রেখে ঘুম! দেখেই শান্তি লাগলো, মনে মনে একটু স্বপ্নও দেখে নিলাম মেয়ে আমার এমন হলে কি দারুণ হতো!

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, মেয়ে আমার অমন না। জন্মের পর থেকেই খুব পাতলা ঘুম। ঘুমের চেয়ে খেলাধূলা বেশি পছন্দ। ঘুমে মরে যাচ্ছে সেই অবস্থাতেও যদি কেউ ওর সাথে খেলা শুরু করে, ও খিল খিল হাসি শুরু করে।

মনে আছে এক মাস বয়সে, যখন বাচ্চারা ঘুমে কাদা হয়ে থাকে, সেই সময়ে ঘুমে ঢলে যাচ্ছে এমন অবস্থাতে পাশের বাথরুমে কলের ক্ষীন শব্দ শুরু হলেই কান খাড়া করে চোখ খুলে ফেলতো। ঘুম কম হলে সেই তো মেজাজ খারাপ থাকে, খাওয়া দাওয়া ঠিক মত করে না।

তাছাড়া আমি ফুল টাইম স্টুডেন্ট, চাকরিও করি। মেয়ে ঘুমায় না বলে যদি নিজে ঘুমাতে না পারি, তাহলে মন মেজাজ ঠিক রাখাটা কঠিন হয়ে যাবে। পড়াশোনার সময়টুকুও পাবো না। দেখা যাবে শেষে মাতৃ্ত্ব ব্যাপারটাকেই দোষ দেয়া শুরু করবো।

একদম ছোট থাকতে বাচ্চাদের জোর করে ঘুম পাড়ানো যায় না। সারা রাত ঘুমিয়ে থাকবে, একটুও উঠবে না, সেই আশা করাও অবান্তর। কোন বাচ্চা সারা রাত একটুও না উঠে ঘুমালে সেটা ওরা ’লক্ষী বাচ্চা’ বলে না, ওদের শরীরের, মনের প্রয়োজন অন্যরকম তাই।

কিন্তু শুরু থেকেই কিছু ভালো অভ্যাস আস্তে আস্তে তৈরি করতে পারলে, সেগুলো পরে কাজ দেয়। আমি এক বছরে একটু একটু করে যা শিখলাম সেগুলো লিখি।

১. ঘুমের জন্য রাত –

আমাদের প্রজন্মে ’নিশাচর’ মানুষেরা অনেক বেড়ে গিয়েছে। সারা রাত বসে বসে বই পড়া, ইন্টারনেটে বসে থাকা, গান শোনা, আড্ডা মারা, কি না। কিন্তু আর দু’এক প্রজন্ম আগে গেলেই, যখন ইলেক্ট্রিসিটি ছিল না, টিভি ছিল না, তখন কিন্তু সন্ধ্যার পর পরই গভীর রাত মনে হতো। সবাই আগে আগে ঘুমিয়ে পড়তো।

সেটাই স্বাভাবিক ছিল–আমাদের শরীরকে রাতের ঘুমের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। কুরআনে যেমন অন্তত: চার জায়গায় আল্লাহ বলেছেন রাতকে বানানো হয়েছে ঘুমের জন্য, তেমনি বিজ্ঞানীরা অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছে রাতের ঘুম আর দিনের ঘুম সমান না। রাতে যেমন গভীর এবং ভালো ঘুম হয়, যেই ঘুমটা শরীর এবং মাথার জন্য খুব দরকার, সেটা দিনে হয় না।

আমাদের মাথায় একটা ছোট গ্ল্যান্ড আছে, পিনিয়াল গ্ল্যান্ড। এই গ্ল্যান্ড খুবই ইন্টারেস্টিং একটা কাজ করে। চোখ দিয়ে যখন উজ্জ্বল আলো ঢুকে মাথায়, তখন গ্ল্যান্ডটা সারা শরীরকে জাগিয়ে তোলার জন্য নানা ধরণের কেমিকেল সিগনাল পাঠানো শুরু করে। অন্যদিকে যখন ঘর অন্ধকার থাকে, তখন আস্তে আস্তে ঘুম ঘুম ভাবের জন্য শরীর তৈরি হয়।

মেয়ের ঘুম ঠিক করার জন্য সবার প্রথমে যা করা শুরু করলাম, তা হচ্ছে, প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ বন্ধ করা। সন্ধ্যা সাতটা থেকে বাইরে অন্ধকার হওয়ার সাথে সাথে মেয়ে ঘুমের জন্য তৈরি হবে সেটাকেই স্বাভাবিক ধরে নেয়া। মোটামোটি ওর দুই মাসের দিক থেকে যেটা শুরু করলাম তা হচ্ছে সন্ধ্যার পর থেকে ও না ঘুমালেও রুমে শুধু ছোট একটা লাইট জালিয়ে রাখতাম। বড় লাইট না। অন্যদিকে সকাল হলে ঘরের সব পর্দা খুলে খুব উজ্জ্বল করে রাখতাম।

ঢাকার অনেক বাচ্চারাই শুনি রাতে জেগে থাকে, দিনে ঘুমায়। আমার খুব গভীর সন্দেহ হয় এর কারণ হচ্ছে, বিল্ডিংগুলো কাছাকাছি থাকায়, ঘরগুলো আসলে দিনের বেলা অন্ধকার থাকে, অন্যদিকে রাতের উজ্জ্বল টিউব লাইট সূর্যের আলোর কাজ করে।

মেয়ের ছয় মাস পর্যন্ত ঘরে সারারাত ছোট্ট একটা লাইট জ্বালিয়ে রাখতাম। ও সারা রাতই মাঝে মাঝে উঠলেও আবার ঘুমিয়ে পড়তো। ছয় মাসের দিকে যখন আরেকটু বুঝা শুরু করলো, তখন বিপত্তি হলো। মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে, আলো দেখেই দেখিও আমাদের দিকে তাকিয়ে খিল খিল হাসি শুরু করে। এটা ওটা টেনে খেলা শুরু করে।

কিছুক্ষনের মধ্যে ঘুম পুরা উধাও! এমনকি পাশের রুমে কেউ হয়তো কাজ করছে লাইট জ্বালিয়ে, মেয়ে আমার দরজার ফাঁকা দিয়ে আলো দেখে খুশি খুশি গলায় ডাকাডাকি শুরু করে দিতো। ভাবতো কত খেলা না জানি মিস হয়ে যাচ্ছে!!!

তখন ছোট লাইটটাও অফ করে রুমটা ভালো অন্ধকার বানিয়ে ফেললাম। পাশে প্যাসেজ হওয়ার সুবিধা হয়েছে, পারত পক্ষে লাইট জ্বালানোর দরকার পড়ে না। আমার মা ভাবতো লাইট বন্ধ করলে ও ভয় পাবে, কিন্তু আসলেই ওর সমস্যা হয় না এবং সত্যিই ওর ঘুম ইমপ্রুভ করেছে শুধুমাত্র লাইটের জন্য।

২. ঘুম ভেঙে গেলে কি করতে হবে বুঝিয়ে দেয়া –

আমার মেয়ে যেই নাচুনে বুড়ি, ওর ঢোলে বাড়ি পড়তে বেশি কিছু লাগে না। তাই বুঝতাম, মাঝে মাঝেই ঘুম থেকে উঠে ও খেলার জন্য তৈরি হয়ে যেত। বুঝতো না যে শরীরের ঘুমের প্রয়োজন শেষ হয় নি।

আমি তাই রাতে যতবার ঘুম থেকে উঠতো, কোন সমস্যা হচ্ছে কি না চেক করে (ন্যাপি, ক্ষুধা, ঠান্ডা-শীত) সাথে সাথেই ওকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করতাম, সেটা দুধ খাইয়ে হোক বা গায়ে চাপড় মেরে। কখনও ফিসফিসের চেয়ে বেশি কথা বলতাম না। যদিও জানি মেয়ে আমার তেমন কিছু বুঝে না, কিন্তু মনে আছে, সেই দশ মাস থেকেই যদি বলতাম ’ঘুমাও, ঘুমাও’, ও কথাগুলোর মানে বুঝতো।

বাইরে আলো হওয়ার পরে (ফজরের সময় বা আরও পরে) উঠলে জানালার পর্দা খুলে ঘর উজ্জ্বল করে দিতাম, সালাম দিতাম, ঘুমের দোআ পড়তাম, জোরে জোরে কথা বলতাম, হাসতাম, কাতুকুতু দিতাম। এখন ও ঘুম থেকে উঠে যদি দেখে বাইরে অন্ধকার, তাহলে আমাকে খুঁজে আবার ঘুম পাড়িয়ে দেয়ার জন্য, অন্য রুমে যাওয়া বা খেলার জন্য না। অন্যদিকে বাইরে আলো থাকলে চোখ বড় বড় করে খুলে হাসি দেয়, কথা বলা শুরু করে। মানে, ঘুম শেষ!

৩. বেডটাইম রুটিন –

বাচ্চাদের তো সময় জ্ঞান নাই, নিজেদের ইন্টারনাল বডি ক্লক আর বাইরের কিছু জিনিস দেখে ওরা বুঝে কিসের সময় কখন। ইন্টারনাল বডি ক্লকটাকে সময় ঠিক করে নিতে আমরা যেমন সাহায্য করতে পারি দিন-রাত আলাদা করে, তেমনি বাইরের কিছু ঘটনা আমরা নিয়ন্ত্রন করতে পারি এমন ভাবে যেন ওরা বুঝে যে এখন ঘুমের সময়।

মেয়ের জন্মের পর থেকেই ওকে সন্ধ্যার সময় গোসল দিয়ে আর তেল মেখে ঘুম পাড়াই। এখন এক বছরে ওকে ঘুমের আগে যা করি–কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল (শীতের সময়েও, আলহামদুলিল্লাহ কিছু হয় না। শুধু মাথাটা ভিজাই না।), তারপরে তেল মাখা, জামা পড়া, আমার গায়ে হেলান দিয়ে কিছু গল্পের বই শোনা, চুল আঁচড়ানো, সূরা শোনা, তারপরে দুধ খেতে খেতে ঘুম। কখনও আগে দুধ খাওয়া হয়ে গেলে আমার গায়ে হেলান দিয়ে ঘুম। যেদিন ওর বেশি ঘুম আসে, সেদিন তাড়াতাড়ি করে বই পড়া শেষ করে নিজেই নিজের ঘুমের জায়গায় গিয়ে বসে থাকে! প্রতিদিন একই জিনিস করি বলে ও জানে কোনটার পরে কি আসবে।
আলহামদুলিল্লাহ ঘুমাতে যাওয়ার আগে কখনও ওর সাথে যুদ্ধ করতে হয় না। বাচ্চারা যেটাকে ’স্বাভাবিক’ জানে, যেটা ’সব সময়’ হয়, সেটার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে না। সে জন্যই অভ্যাস বদলাতে এত কষ্ট হয়। যেই বাচ্চাটা রাত বারোটায় ঘুমাতে যায়, সে সেটাকেই ’স্বাভাবিক’ মনে করে, তাই আগে ঘুম পাড়াতে গেলে যুদ্ধ করতে হয়।

৪. ঘুমানোর জায়গা –

মনে আছে মেয়ে হওয়ার পরে সারাদিন ওকে বুকে নিয়ে শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করতো। বুক থেকে সরালেই বুকটা হু হু করে উঠতো। দুই সপ্তাহ বয়সে প্রথম যেদিন কটে শোওয়ালাম, সেদিন আমিই কান্না। নানা এক্সপেরিমেন্ট করে আপাতত আমার জন্য যেই অ্যারেঞ্জমেন্টটা কাজ করছে তা হচ্ছে, আমাদের বিছানার সাথে ওর কটটা লাগানো। ফলে এমনিতে পুরাটাই একই সারফেইস। পার্থক্য হচ্ছে, ও যখন ঘুমের মধ্যে নাড়াচাড়া করে, তখন আমাদের গায়ে করে না, নিজের কটেই করে।

তিন পাশে রেলিং আছে বলে পড়ে যাওয়ার রিস্কও থাকে না। যেই পাশটায় পিছানা, সেই পাশটায় আমি বড় বালিশ দিয়ে রাখি। প্রথম দিকে ঘুম ভেঙে গেলে বালিশটার জন্য দেখতে পারতো না যে পাশের বিছানায় কেউ নেই, তাই কান্নাকাটি করত না। ঘুম থেকে উঠে শুধু শব্দ করতো। এখন যদিও জানে পাশের বিছানায় কেউ নাই, ও ভয় পায় না। কারণ সে বুদ্ধি(!) হওয়ার পর থেকে দেখছে ঘুম থেকে উঠে একটু শব্দ করলেই কোথাথেকে মা মহিলাটা ছুটে আসে উদ্ধার করতে।

এই অ্যারেঞ্জমেন্টের সবচেয়ে বড় সুবিধাটা বলি। বাচ্চাদের সারা রাত অনেকবার ঘুম পাতলা হয়, আবার গাঢ় হয়, আবার পাতলা হয়। যখন ঘুম পাতলা হয়, তখন যদি ক্ষুধা লাগে, শীত/গরম বেশি লাগে, ঘরে আলো বেশি থাকে, বা কোন কারণে ভয় লাগে, কিছু ’অদ্ভূত’ মনে হয়, তাহলে পুরাপুরি জেগে যায়।

যেসব মায়েরা শরীরের সাথে লেপ্টে নিয়ে বাচ্চাকে ঘুম পাড়ান কিংবা দুধ খাওয়াতে খাওয়াতে ঘুম পাড়ান, এবং সারা রাত সেভাবেই কাটান, তাদের বাচ্চারা যদি ঘুম পাতলা অবস্থায় টের পায় পাশে মা নেই বা সে তখন আর খাচ্ছে না, তাহলেই ভয়ে চিৎকার শুরু করে। কারণ ’এটা স্বাভাবিক না’!

ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যে আমরা বিছানায় ঘুমালাম, কিন্তু ঘুম ভাংলো রান্নাঘরের ফ্লোরে। মেয়েটাকে অনেক রাতে দেখেছি ঘুম ভেঙে যাওয়ার পরে নিজের বিছানাতেই একটু ওলোট পালোট করে, উঠে বসে, আবার ঘুমিয়ে গিয়েছে। কারণটা আমার কাছে এটাই মনে হয়েছে–ও বিছানাতে ঘুমিয়ে বিছানাতেই ঘুম ভাঙে (অর্থ্যাৎ একই অবস্থাতে), রান্নাঘরের ফ্লোরে না।

৫. অতিরিক্ত ক্লান্ত হতে না দেয়া –

অনেক বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ’অতিরিক্ত ক্লান্তি’ বা ওভারটায়ার্ডনেস বলে একটা বিচ্ছিরি ব্যাপার আছে। ব্যাপারটা এমন যে দেখেই বুঝা যাচ্ছে বাচ্চাটা ক্লান্ত, ঘুমাতে চাচ্ছে, চোখ কচলাচ্ছে, হাই তুলছে, ঘ্যান ঘ্যান করছে। সেই অবস্থাতে ঘুম না পাড়ালে একটু পরেই দেখা যাবে ও পুরাপুরি বদলে গিয়েছে। কিসের ক্লান্তি কিসের কি, মহা এনার্জি নিয়ে ’হাইপারএকটিভ’ হয়ে গিয়েছে।

আমার মেয়েটা চার মাস অবস্থাতে মনে আছে, ঘুম আসলো, কিন্তু ঘুম পারালাম না, এমন হলেই সে কিছুক্ষন পরে খিল খিল করে হাসা শুরু করতো। এখন, এক বছরে, ঘুমের সময়ের দেরি হলে ও সারা বাসা ছুটাছুটি শুরু করে, এক জায়গায় বসে লাফানো শুরু করে, অদ্ভূত ভাবে ঘুরা শুরু করে। এগুলো কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় ও করে না।

বাইরের কেউ দেখে কখনও বুঝবে না, এর আসল কারণ ওভার-টায়ার্ডনেস, অতিরিক্ত এনার্জি না! একবার ওভারটায়ার্ড হয়ে গেলে, ঘুম পাড়াতে অনেক দেরি হয় এবং রাতে ঘুম থেকে উঠেও বেশি।

৬. দিনের ঘুম –

দুই বছর পর্যন্ত বাচ্চারা এক টানা বেশিক্ষন সজাগ থাকতে পারে না। কোন বাচ্চার কতটুকু প্রয়োজন সেটা বুঝে দিনের ঘুমটাও দেয়ানোর ব্যবস্থা করা, না হলে অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে রাতে ঘুমাতে কষ্ট হয়।

৭. দোআ করা –

এই পদ্ধতিটা সবার আগে লেখা দরকার ছিল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দোআ আমাকে প্রতিটা পদে পদে সাহায্য করেছে। আমার আল্লাহ ছোট খাট কোন দোআতেই বিরক্ত হন না, খুশি হন এবং শুনেন।

সব মিলিয়ে মেয়ে আমার এখন দিন-রাতে মোটামোটি ১৩+ ঘন্টা ঘুমায়। (বাচ্চাদের কতটুকু ঘুম দরকার?) রাতে দুই তিন বার ঘুম থেকে উঠে কিন্তু কখনও দুধ খেয়ে, কখনও একটু প্যাট করলে আবার ঘুমিয়ে যায় কিছুক্ষনের মধ্যেই আলহামদুলিল্লাহ। যেহেতু সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে পড়ে, তাই আমি নিজে পড়াশোনার সময় পাই, বা জামাইকে সময় দিতে পারি।

অনেকে ভয় পান যে এত কড়াকড়ি করে কোন অভ্যাস করলে বাচ্চারা ফ্লেক্সিবল থাকবে না। কিন্তু তা সত্য না। একবার অভ্যাস হয়ে যাওয়ায় এখন আমি ওকে নিয়ে দাওয়াতে রাত পর্যন্ত থাকতে পারি, বাসার বাইরে থাকতে হলে থাকতে পারি। ওকে নিয়ে বেশ কয়েকটা ’হলিডেতে’ গিয়েছি। ঘুমের সময়ে প্লেইনে চড়েছি, লম্বা সময় ট্রেইনে থাকি নিয়মিত। কখনও রাত হয়ে গেলে গোসল না করিয়েই ঘুম পারিয়ে দেই। ও দিব্যি মানিয়ে নেয়। কারণ ও জানে সেদিনের ঘটনা ’ব্যতিক্রম’।

—————————————–

মা হওয়া ৫: ঘুম
সাদিয়া হোসাইন