যে ভুলে সেলিব্রেটি হলাম

– উম্ম মারঈয়াম

আমি সোনিয়া। একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স করছি। ছোটবেলা থেকেই আমি একটু অন্তর্মুখী স্বভাবের। এতে আমি মোটেও খুশি না। সব ধরণের এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজ ভাল লাগলেও অনেক লোকের সামনে গেলে আমার কী জানি হয়। পেটে বোমা মারলেও শব্দ বের হতে চায় না। একবার তো কলেজের নবীন বরণে নিজের নাম সোনিয়া বলতে গিয়ে বলে ফেললাম ছোনিয়া আক্তার। চারদিকে সে কী হাসির রোল! এরপর থেকে নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে নিয়েছি। অবশ্য ভার্সিটির ফ্রেশার রিসেপশনের জন্য নিজের বক্তব্য খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছিলাম। এক বড় ভাই খুব প্রশংসা করে বললেন, “সোনিয়া, ফেইস ভ্যালু বিরাট একটা ফ্যাক্টর। তোমার লেখাটা সুন্দর, তবে রিসেপশনের দিন এটা পড়ে শোনাবে অর্পিতা। তুমি মন খারাপ কোরো না, তোমার লেখাই তো পড়া হবে, তাই না?”

আমি মন খারাপ করিনি। আসলে ঐদিন এত মানুষের সামনে এগুলো পড়তে গেলে জ্ঞান হারিয়ে পড়েও যেতে পারতাম। তার থেকে অর্পিতা পড়লেই ভাল। এরপর থেকে বড় ভাইয়া আপু আর কিছু ক্লাসমেইট জেনে গেল আমি ভাল লিখতে পারি। ফেসবুকে দুই চারটা লিখতাম তেমন বেশি লাইক পেতাম না। আমার ফেইস ভ্যালু নেই, তাই হয়ত পরিচিতি পাচ্ছিলাম না। ফ্রেন্ডরা নিজেদের ছবি দিয়ে হাজার হাজার লাইক পাচ্ছে, আমার লেখা পড়ে দেখার সময় নেই কারো। ভেতরে ভেতরে খুব হতাশা কাজ করত। 

একদিন অর্পিতা আমাকে হতাশা থেকে টেনে তুললো। ইনবক্সে নক করে বলল, “দোস্ত, তুই তো ভাল লিখিস। কিন্তু কেউ পড়ে না! আমার যে কী খারাপ লাগে!”

– কী করব বল! কাউকে চেপে ধরে তো পড়ানো যায় না!

– এখন থেকে সবাই পড়বে তোর লেখা। আমি চেপে ধরব!

– কী বলিস? সবাই হাসবে তোকে নিয়ে!

– হাসবে না। শোন, আমার প্ল্যানটা বলি। একটা ট্রেন্ড চলছে এখন। নিজের ছবির সাথে ইরেলেভেন্ট ক্যাপশন দিয়ে সবাই হিট হয়ে যাচ্ছে। 

– ওদের ছবি ভাল আসে তাই। আমার ক্যামেরা ফেইস ভাল না রে…

– ধুর! কথা তো শেষ করতে দিবি! গাধী তোর ছবি না, আমার ছবির জন্য তুই ক্যাপশন লিখে দিবি। 

– কিন্তু ছবি তোর ক্যাপশন আমার…লোকে কী বলবে!

– দোস্ত, তোর নাম মেনশন করা যাবে না। তাহলে ব্যাপারটা হাস্যকর হয়ে যাবে। চিন্তা করে দেখ, কেউ তোকে চিনবে না কিন্তু সবাই তোর লেখা পড়বে। জোস না ব্যাপারটা?

আমি কিছুক্ষণ ভাবলাম। আসলেই ব্যাপারটা দারুণ! আমি তো লাইম লাইটে আসতে ভয় পাই। আবার এটাও চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক! তাহলে অর্পিতাকে ক্যাপশন লিখে দিলে ক্ষতি কী! রাজি হয়ে গেলাম। অর্পিতার ক্যাপশন, স্টেটাস এভাবে টুকটাক লিখে দিতাম আর ওর প্রোফাইলে চাতকের মত বসে থাকতাম। লাইক আর কমেন্টে প্রশংসা গুলো তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতাম।

এভাবে বেশ চলছিল। একদিন হঠাৎ একটা মেসেজ রিকুয়েস্ট আসল। মেসেজ ওপেন করে আমি হতবাক! ফেসবুকের বিখ্যাত সেলিব্রেটি সুনীতা মিতু আমাকে নক করেছে! কেবল নকই করেনি, লিখেছে “হাই সুইটহার্ট আমি মিতু।” আমার বুক ধড়ফড় করছে। কাঁপা কাঁপা হাতে লিখলাম, “হ্যালো! আপনি কি সত্যিই মিতু আপু?” 

– আরে পাগলী হ্যাঁ! আমি মিতু। তুমি আমার লেখা আগে পড় নি?

– জ্বী আপু পড়েছি। আপনি আমাকে চিনলেন কী করে?

– সে কথা পরে হবে। আগে বল তো আমি কী নিয়ে লিখি? পরীক্ষা হয়ে যাক কেমন পড়েছো। 

এরপর একটা হাহা করা ডাক স্টিকার। আমার তখন আমি নেই নেই নেই রে অবস্থা। সুনীতা মিতু আমাকে নক করেছে! আমাকে! কোনোমতে নিজেকে সামলে লিখলাম, “আপু আপনার পিরিয়ড নিয়ে বেশ কয়েকটা লেখা আমি পড়েছি। আমি আপনাকে ফলো করি!”

– একাই পড়েছো? তোমার বাবা ভাইকে পড়ে শোনাও নি?

– না আপু…আসলে কেমন যেন আনইজি লাগে। 

– এটাই মেয়েদের সবচেয়ে বড় সমস্যা! আনইজি লাগলে চলবে কেমন করে? এই সময়ে তুমি কতটা কষ্ট পাও সেটা তোমার বাবা ভাইকে জানাতে হবে না? তুমি জানো এই আনইজি লাগার জন্য আমি কত কষ্ট পেয়েছি! রোযার সময় রোযা না রেখেও না খেয়ে থেকেছি পাছে আমার বাবা ভাই বুঝে ফেলে!

– কিন্তু আপু আপনি তো ফেসবুকে সারা দুনিয়ার মানুষকে জানিয়ে দিয়েছেন পিরিয়ডের কষ্টের কথা। তাহলে আপনার বাবা ভাইকে কেন জানাতে পারলেন না?

কথাটা হাত ফসকে বেরিয়ে গেছে। সেন্ড করেই বুঝলাম বলদের মত কাজ করেছি। কত সুন্দর আমাকে সুইটহার্ট ডেকেছিল। এখন যদি ব্লক করে দেয়! ওপাশ থেকে অনেকবার কিছু লিখে আবার ব্যাকস্পেস চেপে দেয়ার আভাস পাচ্ছি। আজকে বোধহয় আমি শেষ। সেলিব্রেটি মানুষ। আমাকে নিয়ে একটা বাজে স্টেটাস লিখে দিলেই আমার দাফন কাফনের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। প্রায় সাত মিনিট পর রিপ্লাই এলো, “আমি চাই না, আমি যে ভুল করেছি সে ভুল সবাই করুক। আমি মনে করি প্রত্যেকটা মেয়ের পিরিয়ড নিয়ে লেখা উচিত। সে যাই হোক, কাজের কথায় আসি। আমি শুনেছি তুমি অনেকের জন্য লিখো। আমাকে কিছু লিখে দিতে পারবে?”

এবার যেন আমার হার্টবিট মিস হবে! “কে বলেছে আপু! আমি তো আপনার ধারের কাছেও নেই। আপনি যে সুন্দর করে লিখেন!”

– আরে তুমিও অনেক জোস লিখো। তোমার ফ্রেন্ড অর্পিতার ক্যাপশন তুমি লিখে দাও, রাইট?

– আপনি কী করে জানলেন আপু?

– অর্পিতাকে আমি চিনি। ওর পক্ষে এত সুন্দর লেখা সম্ভব না। ওকে ক্যাঁক করে ধরেছিলাম। অনেক্ষণ গাঁইগুঁই করে তোমার কথা বলল। ওর একটা ছবি আছে না? ওই যে কোমড়ে হাত দিয়ে একটু বাঁকা হয়ে জানালায় দাড়িয়ে আছে? মেয়ে ঐ ছবিতে তোমার দুর্দান্ত ক্যাপশন দেখে আমি তোমায় ভালবেসে ফেলেছি। “অদ্ভুত বিকলাঙ্গতায় আমি একা” কী করে লিখলে বলো তো! অসম্ভব সুন্দর! অসম্ভব!

লজ্জায় আমার গাল লাল হয়ে গেল। “আপু আমি তো একটু একটু চেষ্টা করি। তেমন ভাল হয় না। আর পিরিয়ড নিয়ে আমি আসলে লিখতে পারব না…”

– বোকা মেয়ে! তোমার পিরিয়ড নিয়ে লিখতে হবে না। আমার স্টকে এই টপিকে যত লেখা আছে তা আরও ২ বছর চালাতে পারব। তুমি আমাকে অন্যান্য টপিকে লেখা দিবে। আসলে আমার একটু চেঞ্জ আনা দরকার। নিজেকে ভেংগে আবার গড়তে চাচ্ছি। এক পিরিয়ডের লেখা দিয়ে বেশিদিন চলবে না। আবার হাতে তেমন সময়ও নেই। জানোই তো আমি সোশাল এক্টিভিস্ট। মেয়েদের সমস্যা নিয়ে কাজ করতে হয় আমাকে। তোমার সাহায্য প্রয়োজন ডিয়ার। 

একবার মনে হল মিতু আপু কে জিজ্ঞেস করি পিরিয়ড মেয়েদের সমস্যা কিনা। নিজেকে সামাল দিলাম। এক ভুল দুইবার করা যাবে না। 

এরপর মিতু আপুর সাথে অনেক কথা হয়। আপু কিছুতেই বিনা পারিশ্রমিকে লেখা নিবেন না। শব্দ প্রতি ৫০ পয়সায় রেট ঠিক করে দিলেন। আমার অনেক লজ্জা লাগছিল। কিন্তু কিছুই করার নেই। বিকাশ নাম্বার না দিলে নাকি বাড়ি এসে টাকা দিয়ে যাবেন! এরপর আর কথা চলে না। টাকার বিনিময়ে লিখতে রাজি হয়ে গেলাম। 

আজকাল খুব ব্যস্ত সময় কাটে। মিতু আপুর জন্য খাটতে হচ্ছে প্রচুর। কাজটা খুব চ্যালেঞ্জিং। একটা লেখা লিখলেই চলে না। পাঠক প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে আবার আরেকটা লিখতে হয়। এভাবে কোন লেখা যে দিয়েছি, আর কোনটা দেইনি মনে করতে সময় লেগে যায়। সব মিলিয়ে আমার পাগল পাগল অবস্থা। এরই মাঝে একদিন আমাকে নক করল আরেক সেলিব্রেটি ফারিয়া। এবার আর প্রথমবারের মত উত্তেজনা পেলাম না। ফারিয়া মেয়েটা নতুন সেলিব্রেটি। লেখায় গালিগালাজ থাকে প্রচুর। তবে ওর টার্নিং পয়েন্ট লেখা না, ওর ছবি। ফারিয়াই প্রথম শাড়িকে লুংগির মত মালকোঁচা মেরে পরার ট্রেন্ড চালু করেছে। এরপর থেকে ও হিট, ওর ছবি হিট, ওর গালি দেয়া পোস্টও হিট। ওর লেখায় যে ধার, ইনবক্সে একদম তার উলটো। আমার সাথে প্রচন্ড অমায়িকভাবে কথা বলেছে। কথা বলতে বলতে আমার মনে হয়েছে ও যেন আমার ছোটবেলার স্কুল ফ্রেন্ড। দুই মিনিটে তুমি থেকে তুই এ নেমে আসলাম আমরা। ওর উদ্দেশ্যও মিতু আপুর মত। তবে ও আমাকে শব্দ প্রতি ১ টাকা দিবে। আমার স্টকে গালিগালাজ নেই বললেই চলে। ওকে জানাতেই ও একটা পিডিএফ দিল। এখানে মা বোন বাপ ভাই কাউকে ছেড়ে দেয়া হয়নি। সব ধরণের গালির লিস্ট দেয়া আছে। ফারিয়া বলেছে লেখার মাঝে গালি এড করতে সমস্যা হলে যেন ওকে জানাই। দুই একটা দেখিয়ে দিলে একদিন আমি নিজে থেকেই এড করে নিতে পারব। আজ রাতে ওকে একটা লেখা দিতে হবে। এরকম একদিনের নোটিশে লেখার অভ্যাস আমার নেই। তাই ফোল্ডার খুঁজে খুঁজে অনেক আগের একটা লেখা বের করলাম। লেখার টপিক “মায়ের হাতের ঘন ডাল”। খুব আবেগ দিয়ে লেখা, নিজের লেখা পড়ে নিজেই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। মনে হচ্ছে লিখিনি, একটা একটা করে শব্দ বুনেছি। 

রাতে ফারিয়াকে লেখা দিলাম। ও আমাকে ফেসবুকে কল দিয়ে বসল। 

“দোস্তোওও আই ওয়ানা হাগ ইউউউউউ….এরকম ঝাক্কাস লেখা কী করে লিখিস তুই? তোর হাতটা আমি একবার ছুঁয়ে দেখতে চাই!”

খুব ভাল লাগছে আমার। কী বলব বুঝে পাচ্ছি না। সব গুলিয়ে যাচ্ছে। শেষমেষ বললাম, “এখানে কোথায় কোথায় গালি এড করতে হবে বলে দে।“
ফারিয়া কিছুক্ষণ ভেবে জানালো লেখার শেষে পুরুষজাতিকে একটা গালি দেয়া প্রয়োজন, ওদের মা তুলে গালি দিতে হবে। কারণ ওরা এমন ডাল কখনও রান্না করেনি। করতে পারবেও না! লেখার বাকীটুকু এমনই থাকবে। কেবল ডাল শব্দগুলো এডিট করে ডাইল লিখে দিতে হবে। আমরা তো এত শুদ্ধ ভাষায় কথা বলি না, বলি? ডাইল লিখলে একটা মাটির ঘ্রাণ আসবে। বৃষ্টি পড়লে যে সোঁদা মাটির ঘ্রাণ আসে না? ওরকম। 

ঐ রাতে আমি সব ডালকে এডিট করে ডাইল বানালাম। ফারিহার সাহায্য নিয়ে পুরুষজাতির মা তুলে গালিগালাজও এড করে দিলাম লেখাতে।
খুব ভাল লাগছিল ফারিয়ার সাথে কথা বলে। এভাবে আমার লেখার প্রশংসা আর কেউ করেনি। রাতে খুব ভাল ঘুম হল। এক ঘুমে উঠলাম দুপুরে। উঠতাম না। অর্পিতার ফোন কলে ঘুম ভেংগে গেল। 
ফোন ধরতেই অর্পিতা আমাকে প্রচুর গালি দিল। আমার মত লোভী মেয়ে নাকি ও জীবনে দেখেনি। আমি হতভম্ব। ওর রাগের কারণ বুঝলাম না। কী হয়েছে কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পর আসল ঘটনা জানতে পারলাম। ফারিয়া ঐ রাতে ডাইলের পোস্ট দেয়ার পর চারদিকে তুলকালাম হয়ে গেছে। সবাই কমেন্ট করেছে এটা সুনীতা মিতুর লেখা। ফারিয়া কেবল ডালের বদলে ডাইল বসিয়ে দিয়েছে। চারদিকে ছি ছি ছ্যা ছ্যা কমেন্ট আর স্ক্রীনশটের বন্যায় আসল তথ্য বের হয়ে এসেছে। দুই মাস আগে এই ঘন ডাল লেখাটা আমি সুনীতা মিতুর কাছে বেচেছিলাম। গতকাল সেটা ভুল করে ফারিয়ার কাছে বেচে দিয়েছি। 

অর্পিতার কথায় মাথায় আকাশ ভেংগে পড়ল। অর্পিতা নিজেই বলল পিরিয়ড সেলিব্রেটি মিতু এবং গালি মালকোঁচা সেলিব্রেটি ফারিয়া দুজনেই সাংঘাতিক। আমার একটা ভুলের জন্য আজ যা হল, ওরা আমাকে ছেড়ে দিবে না। 

অর্পিতার কথাই ঠিক। ফারিয়া আর মিতু আমাকে থ্রেট দিয়ে ফেসবুকে মেসেজ পাঠিয়েছে। কল কেন ধরিনি তা নিয়েও শাসিয়ে টেক্সট করেছে। অথচ আমি ঘুমে ছিলাম, আমার হিসাব ছিল না। কী করব ভেবে অর্পিতাকে ফোন দিয়ে কেঁদে ফেললাম। 
অর্পিতা প্রথমে গালি দিলেও পরে আমাকে আশ্বাস দিল ও ফেসবুক লাইভে গিয়ে ব্যাপারটা ম্যানেজ করবে। তবে শর্ত একটাই, অর্পিতা লাইভে যা-ই বলুক, আমাকে চুপচাপ মেনে নিতে হবে। ভবিষ্যতে আমি আর কাউকে লিখে দিতে পারব না, কেবল ওর ছবির ক্যাপশন লিখব। আর বড় বড় সাহিত্য যা কপচানোর নিজের প্রোফাইলে কপচাবো। আমি রাজি হয়ে গেলাম। 

অর্পিতা ফেসবুক লাইভে এল। সবাইকে জানালো আমি নিতান্তই দরিদ্র এক মেয়ে। সৎ বাবার সংসারে থাকি। ভার্সিটি পড়ার খরচ আমার নিজেরই যোগাড় করতে হয়। এজন্য অর্পিতা মিতুকে আমার কথা বলেছিল। ফারিয়া কীভাবে আমার খোঁজ পেল তা অর্পিতা জানে না। খরচ চালাতে এত কষ্ট করছি বলার এক পর্যায়ে অর্পিতার ঝরঝর কান্নায় আমারও নিজের আপন বাবাকে সৎ বাবা মনে হতে লাগল। মিতু আর ফারিয়ার থ্রেটের স্ক্রীনশটও অর্পিতা ফেসবুকে ছেড়ে দিল।

চারদিকে এখন শুধু আমার নামে ইভেন্ট আর ফেসবুক পোস্ট। 

“জাস্টিস ফর সোনিয়া”

“সোনিয়া আমাদেরই বোন”

“সোনিয়ার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে”

ইনবক্সে শত শত মেসেজ। 

হাজার হাজার ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট।

সামান্য এক ভুলে মিতু আর ফারিয়াকে ছাপিয়ে আমি রাতারাতি সেলিব্রেটি হয়ে গেলাম !

(২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭)