অবারিত সুযোগের হাতছানি…

ছোটবেলায় মা-বাবা আমাদের ভালো কাজে উৎসাহিত করতে কত কি করতেন, মনে পড়ে? একটা সামান্য বেলুন কিংবা কোন একটা মজার গল্প শোনানোর আশ্বাস- ভালো কাজ করতে এগুলোই উৎসাহ যোগাত অনেক!

বড়বেলায়ও কিন্তু এমন অনেক অনুপ্রেরণা পাই আমরা- স্কুল, কলেজ কিংবা কর্মস্থল থেকে, যাতে দম না হারাই। আসলে, লাগাতার সাধনা করা মানুষের পক্ষে কষ্টকর। মাঝে মধ্যে তার কিছু প্রেরণা প্রয়োজন, সুযোগ প্রয়োজন। আর মানব মনের এই হাল-হকিকত তার সৃষ্টিকর্তা অপেক্ষা ভালো আর কে বোঝে!

এইযে কিছুদিন আগেই এক সুবর্ণ সুযোগ গেল- রামাদান। নিজের ঈমান ও আমলের অবস্থা কি রামাদানের মতোই আছে? নিশ্চয়ই না! আল্লাহ তাআলা আমাদের এহেন অবস্থা সম্পর্কে জানেন বলেই তিনি আবারও ঈমানকে জাগ্রত করার জন্য বিশাল এক সুযোগের ব্যবস্থা করে রেখেছেন সামনে! আর তা হল- যিলহজ মাসের প্রথম দশদিন; রাসূল (সাঃ) এর বাণী অনুযায়ী যা কিনা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দশদিন!

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘এমন কোনো দিন নেই যার আমল যিলহজ এর এই দশ দিনের আমল থেকে আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়।’ সাহাবারা যখন জিজ্ঞেস করেছেন, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! আল্লাহর পথে জিহাদও কি নয়?’ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তখন বলেছেন , ‘না। আল্লাহর পথে জিহাদও নয়। তবে যে ব্যক্তি তার জান-মাল নিয়ে আল্লাহর পথে যুদ্ধে বের হল এবং এর কোনো কিছু নিয়েই ফেরত এলো না (তার কথা ভিন্ন)।’ 
[বুখারী : ৯৬৯; আবূ দাউদ : ২৪৪০; তিরমিযী : ৭৫৭]

এছাড়াও, আল্লাহ তা‌‘আলা সূরা আল-ফাজরে বলেছেন,

وَالْفَجْرِ وَلَيَالٍ عَشْرٍ

অর্থ: ‘কসম ভোরবেলার। কসম দশ রাতের।’ 
এখানে অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে যিলহজের দশকের প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে। এ কথা নিশ্চিত যে, আল্লাহ তা‌আলা কোনো কিছুর কসম করলে তা অবশ্যই মহা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আরাফার দিন (৯ই যিলহজ) হলো হজের দিন। এটি বিশেষ দিন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: ‘আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী, এটি পূর্ববর্তী এক বছর ও পরবর্তী এক বছরের গুনাহের কাফফারা হবে।’ [মুসলিম৻]

সুবহানাল্লাহ! কতই না সুযোগের ব্যবস্থা করে রেখেছেন আল্লাহ! রাসূল (সাঃ) আরো বলেছেন ‘আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন হলো কুরবানীর দিন অতপর স্থিরতার দিন’। (অর্থাৎ কুরবানীর পরবর্তী দিন, যেদিন মানুষ কুরবানীর দায়িত্ব পালন শেষে সুস্থির হয়।) [নাসায়ী : ১০৫১২; ইবন খুযাইমা, সহীহ : ২৮৬৬] তবে অনেকেই এই দুদিনের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল নন।

হাফেয ইবন হাজর রহিমাহুল্লাহ বলেছেন, ‘যিলহজের দশকের বৈশিষ্ট্যের কারণ যা প্রতীয়মান হয় তা হলো, এতে সকল মৌলিক ইবাদতের সন্নিবেশ ঘটে। যথা : সালাত, সিয়াম, সাদাকা, হজ ইত্যাদি। অন্য কোনো দিন এতগুলো ইবাদতের সমাবেশ ঘটে না।’ [ফাতহুল বারী : ২/৪৬০]

তাহলেই বুঝুন, কি ফযীলতময় মৌসুম আমাদের সামনে! অতএব, প্রস্তুত হন! নিয়ত করে ফেলুন! এই দশদিন যেসব আমলের মাধ্যমে জিহাদ অপেক্ষাও অধিক সাওয়াব অর্জন করতে পারেন সেগুলো হলো-

১. তাকবীর: 
ইবনে ওমর (রাঃ) এর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘এ দশ দিনের তুলনায় অন্য কোন সময় আল্লাহর নিকট এতটা মর্যাদা পূর্ণ নয় বা তাতে আমল করা এতটা পছন্দনীয় নয়। সুতরাং এ দিনগুলোতে তোমরা বেশি বেশি তাকবীর (আল্লা-হু আকবার), তাহলীল (লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ), ও তাহমীদ (আল হামদুলিল্লা-হ) পড়।’ [মুসনাদ আহমদ]

তাকবীর বলার সচরাচর নিয়ম- ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লাইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’

উল্লেখ্য যে, তাকবীর জোরে পড়াই উত্তম (ছেলেদের জন্য)। এ নিয়ে একটা সুন্দর ঘটনা বলি। ইবনে ওমর (রাঃ) এবং আবু হুরায়রা (রাঃ) এ দশ দিন তাকবীর বলতে বলতে বাজারে বের হতেন, আর মানুষরাও তাদের দেখে তাকবীর বলত। ইবনে উমর (রাঃ) মিনায় তাঁর তাঁবুতে তাকবীর বলতেন, তা শুনে মসজিদের লোকেরা তাকবীর বলত এবং বাজারের লোকেরাও তাকবীর বলত। এক পর্যায়ে পুরো মিনা তাকবীর ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠত! সুবহানাল্লাহ!

এবার চোখ বন্ধ করে কল্পনা করুন তো, আপনার শহরে বা গ্রাম এমন তাকবীরে ছেয়ে গেলে কেমন লাগবে? এক কাজ করুন, এ বছর আপনিই হয়ে যান আপনার এলাকার ইবনে উমার কিংবা আবু হুরাইরা, আর পুনঃপ্রতিষ্ঠা করুন একটি সুন্নাহ!

আরেকটা কথা জানিয়ে রাখি। যিলহজ মাসের সূচনা থেকে আইয়ামে তাশরীক শেষ না হওয়া পর্যন্ত (অর্থাৎ ১৩ যিলহজ পর্যন্ত) এ তাকবীর পাঠ করা সকলের জন্য মুস্তাহাব। তবে আরাফার ফজরের পর থেকে মিনার দিনগুলোর শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক সালাতের পর এ তাকবীর পাঠ করার জন্য বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ ও আলী (রাঃ) থেকে এ মতটি বর্ণিত (ইবন তাইমিয়া রহ. একে সবচেয়ে বিশুদ্ধ মত বলেছেন)।

২. সালাত: 
ফরয সালাতগুলোর পাশাপাশি প্রচুর নফল সালাত আদায় করতে পারেন। সালাতই হল আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায়। সাওবান রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি: ‘তুমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে অধিক পরিমাণ সিজদা কর, কারণ যখনই তুমি সিজদা কর বিনিময়ে আল্লাহ তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং গুনাহ মোচন করেন।’ [মুসলিম]

অধিক সালাত আদায়ের সাথে কিয়াম, রুকু ও সিজদা দীর্ঘায়িত করাও উচিত। সালাতের খুশু-খুজুর প্রতি ও যত্নবান হতে হবে। সালাতের সুরাহ গুলোর অর্থ বুঝে ধীরলয়ে তিলাওয়াত করলে মনোযোগ বাড়বে, অন্তর নরম হবে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হবে ইন শা আল্লাহ।

৩. সিয়াম: 
সিয়াম পালন করা আল্লাহর কাছে কত প্রিয় আমরা জানি। আর এ দিনগুলোতে সিয়াম পালন তো খুবই ফযীলতপূর্ন। আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘আরাফার দিনের (৯ যিলহজ এর) সাওম আল্লাহ বিগত ও আগত বছরের গুনাহের কাফফারা হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন।’ [মুসলিম : ১১৬৩]

ইমাম নববী যিলহজ মাসের শেষ দশ দিনের সিয়ামকে বলেছেন গুরুত্বপূর্ণ মুস্তাহাব। তবে প্রচলিত সাত, আট ও নয় তারিখের সিয়ামের কোনো আলাদা ভূমিকা নেই।

৪. হজ ও উমরা : 
নিঃসন্দেহে হজ ও উমরা এ দুটি হলো এ দশকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আমল। আবূ হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,‘এক উমরা আরেক উমরা পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহর ক্ষতিপূরণ হয়ে যায়। আর হজ মাবরূরের প্রতিদান তো জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।’ [বুখারী : ১৭৭৩; মুসলিম : ৩৩৫৫]

মাবরূর হজ সেটি যা করা হয় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দেখিয়ে যাওয়া পন্থায়; যা হয় রিয়া ও অশ্লীলতা বিবর্জিত।

৫. সাদাকা : 
এ দিনগুলোতে যে আমলগুলো বেশি বেশি দরকার তার মধ্যে অন্যতম হলো সাদাকা। আল্লাহ তাআলা মানুষকে সাদাকা দিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন একে ঋণের সাথে তুলনা করে!

‘কে আছে, যে আল্লহকে উত্তম ঋণ দেবে, ফলে তিনি তার জন্য তা বহুগুণে বাড়িয়ে দেবেন?’ [সূরা আল বাকারা:২৪৫]

আর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘সাদাকা পাপকে নিভিয়ে দেয় যেভাবে পানি আগুন নেভায়।’ [তিরমিযী]

৬. কুরবানী : 
যিলহজের দশম দিন প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কুরবানী করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। কুরবানীর পশু জবাই ও গোশত বিতরণের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ হয়, গরিবদের কল্যাণ সাধিত হয়।

এক্ষেত্রে একটি হাদিস না বললেই নয়। উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন যিলহজ মাসের চাঁদ দেখে এবং সে ব্যক্তি যদি কোরবানি করতে ইচ্ছুক হয় তাহলে সে যেন চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।’ [সহিহ মুসলিম (১৯৭৭)] এ বিধান নারী- পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই।

৭. গুনাহ ত্যাগ ও তাওবা: 
গুনাহরত অবস্থায় কি কোনো পুণ্য অর্জন করা সম্ভব? বরং গুনাহ তো আপনার আগের সব অর্জনকেও ধুলায় মিশিয়ে দিবে। তাই এক এক করে নিজের গুনাহর লিস্ট করুন, সেগুলো চিরতরে বিদায় দেয়ার নিয়ত করুন, তাওবা করুন। বিশ্বাস করুন, বরকতময় দিনগুলোতে যে কোন ভালো কাজ করা সহজ হয়। আর তাওবা যদি কবুল হয় যায় তাহলে কি হবে জানেন? কুরআনেই কি আছে দেখুন-

‘যারা তাওবা করে, বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গুনাহ সমূহকে নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দিবেন।’ (সুরা ফুরকান : আয়াত ৭০)

৮. দুআ ও যিকির : 
যিলহজের দশদিন মুখে তাকবীর এর পাশাপাশি যেন সমানতালে যিকির চলে। পাপ থেকে দূরে থাকতে আল্লাহর স্মরণ খুব বেশি প্রয়োজন যে! তাছাড়াও, দুয়া কবুল হওয়ার অন্যতম নিয়ামক কষ্টবিহীন এই ইবাদাতটি।

হাদীসে কুদসিতে এসেছে, ‘আল্লাহ বলেন, বান্দা আমার ব্যাপারে যেমন ধারণা করে আমাকে তেমনি পাবে। যখন সে আমার যিকির (স্মরণ) করে আমি তার সঙ্গে থাকি। সে যদি তার অন্তরে আমার যিকির (স্মরণ) করে তাহলে আমিও তাকে আমার অন্তরে স্মরণ করি।’ ভাবা যায়! সুবহানাল্লাহ!

দুআর প্রয়োজনীয়তার কথা আর কি বলবো। দুআ কত গুরুত্বপূর্ণ, তা আমরা সকলেই জানি। তাই দুআ করুন, মন খুলে, খালিস হৃদয়ে। হাতজোড় করলে মানুষ যেখানে গলে যায়, সেখানে আপনার রব তো রাহমানির রাহিম!

এখানে একটি পরামর্শ- দুআ কবুলের সময়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখবেন। ঝুম বৃষ্টিতে, আজানের পরপর, শুক্রবার বিকালে কিংবা কোনো এক শেষ রাতে, হয়ে যেতে পারে আপনার দুআ কবুল! তাই কখনই নিরাশ না হয়ে, নিচের কথাটি মনের ভিতর গেঁথে দুআ করতে থাকুন-

‘হে আমার রব, তোমাকে ডেকে তো আমি কখনো ব্যর্থ হইনি।’ (সূরা মারিয়াম, আয়াত-৪)

আর হ্যাঁ, নিজের ও প্রিয়জনদের পাশাপাশি দেশের জন্য, উম্মাহর জন্য দুআ করতে ভুলবেন না। সকলের সম্মিলিত দুআর মাধ্যমেই কেবল বর্তমান সব ঝড়-ঝঞ্ঝা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

৯. কুরআন তেলাওয়াত:
এ কদিন কুরআনের সাথে সম্পর্ক আরো মজবুত করুন। কুরআনের প্রতিটি হরফের তিলাওয়াতের বিনিময়ে দশ সাওয়াবের কথা তো আমরা জানিই। তাই কুরআন পড়ুন, বুঝে বুঝে। সম্ভব হলে, কিছু সূরা হিফজ করে নিন। আরো ভালো হয়, যা শিখলেন তা অপরকে শিক্ষা দিলে, কিংবা আরবি ভাষা শিক্ষা দিলে। কেন? এ নিয়ে রাসূল (সাঃ) এর বাণী গুলোই দেখুন-

• ‘তোমরা কুরআন তিলাওয়াত কর, কারণ কুরআন কিয়ামতের দিন তার পাঠকারীর জন্যে সুপারিশ করবে।’ [মুসলিম : ১:৫৫৩, হা.৮,৪]

• ‘যে কুরআনে পারদর্শী এবং কুরআন পাঠ করে সে বিচরণকারী পুন্যবান ও সম্মানিত ফেরেশতাদের সঙ্গী। আর যে কষ্ট সত্ত্বেও বারবার কুরআন পাঠ করে, তার সওয়াব দ্বিগুন।’ [বুখারি+ফাতহুল বারি : ৮:৬৯১, হা.৪৯৩৭]

• ‘হাফেজ-ই-কুরআনকে বলা হবে, পড় এবং ওপরে উঠ। তারতিলসহ পড় অর্থাৎ ধীরে ধীরে আবৃতি কর, যেমন দুনিয়াতে করতে। কারণ, সর্বশেষ আয়াতের স্থানই হবে তোমার মর্যাদার স্থান ।’ [আবু দাউদ ২:৫৩, হা.১৪৬৪]

• ‎’তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম যে কুরআন শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়।’ [বুখারি]

১০. সৃষ্টির হক আদায়: 
স্রষ্টার হক আদায়ের পাশাপাশি তাঁর সৃষ্টির হক আদায়ও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। মা-বাবার সেবা , আত্মীয়তা রক্ষা করা, সকলকে দাওয়াহ দেয়া, গরীবদের খাবার খাওয়ানো, অপর ভাইয়ের প্রয়োজনে এগিয়ে আসা ইত্যাদি সবকিছুই আপনার সাওয়াবের পাল্লা ভারী করবে ইন শা আল্লাহ।

বুঝলেন তাহলে, কি অবারিত সুযোগ আপনার সামনে! মনের মধ্যে যে স্রষ্টার সান্নিধ্য পাওয়ার এক তীব্র পিয়াসা- টের পাচ্ছেন না? ঐযে ঐ জান্নাত হাতছানি দিয়ে ডাকছে- বুঝতে পারছেন না? রাব্বুল আলামিন তাঁর রহমতের অপরিসীম ঝুলি নিয়ে অপেক্ষা করছেন আপনার জন্য- সাড়া না দিয়ে কি এবার পারবেন!

অবারিত সুযোগের হাতছানি…

বিনতে আব্দুল্লাহ

অগাস্ট ০৪, ২০১৯ইং