পবিত্র রামাদানের প্রস্তুতিমূলক পরিকল্পনা (সাংসারিক কাজ)

রামাদান রহমত, বারাকাত, মাগফিরাত ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস। অপরিসীম ফজিলতপূর্ণ এ মাসে মহিমান্বিত আল কুরআন নাযিল হয়েছে। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যখন রামাদানের প্রথম রাত্রি আসে, তখন শয়তান ও অবাধ্য জ্বীন সকলকে শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা হয়।জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করা হয়, আর কোন দরজা খোলা হয় না এবং জান্নাতের দরজা সমূহ খোলা হয়, আর কোন দরজা বন্ধ করা হয় না ।
(বুখারী: ১৮৯৯, মুসলিম: ১০৭৯)

এ মাসে এক আহবানকারী আহবান করতে থাকে যে, “হে কল্যাণের অভিসারী ! তুমি অগ্রসর হও। হে অকল্যাণের অভিসারী ! তুমি থামো”। মহান, দয়াশীল আল্লাহ্ তা’আলা এই মাসেই বহু ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেন। আর এটা প্রত্যেক রাতেই হয়ে থাকে ।

(তিরমিযী: ৬৮২, ইবনে মাযাহ্:১৬৪২, মিশকাত :১৯৬০)

প্রিয় রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) রামাদানের অনেক আগেই ইবাদাতের প্রস্তুতি নিতেন। সাহাবীগণ ও প্রায় ছয়মাস আগে থেকেই রামাদানের ইবাদাতের প্রস্তুতি নিতেন। রামাদান এলে উনারা নিজেদের ইবাদাত নিয়ে এতই নিমগ্ন থাকতেন যে একে অপরের কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াতেন। কারণ সৎ কাজের ক্ষেত্রে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতার কথা বলা হয়েছে। আর আমাদের মতো গুনাহ্গারদের উচিত এ মহা সুযোগটির যথাযথ সদ্ব্যবহার করা। কারণ আগামী রামাদানে সুস্হ থাকবো বা বেঁচে থাকবো, এমন কোন গ্যারান্টি নেই।

রামাদান আসতে আর অল্প কিছু দিন বাকি। প্রস্তুতি নেবার এখনই সেরা সময়। রামাদান যদিও আত্মিক উন্নয়নের মাস, নেক আমল বাড়িয়ে নেয়ার মাস, ক্ষমা চেয়ে নেয়ার মাস,তবুও দু:খজনক হলেও সত্যি এ মাসে আমাদের নারীদের সময়ের একটি বিশাল অংশ চলে যায় হরেক রকম ইফতারি তৈরিতে, ঈদ শপিং এ বা গৃহস্থালীর অন্যান্য কাজে। কিভাবে যেন মর্যাদাপূর্ণ রামাদান এসে আবার চলেও যায় কিন্তু আমাদের নেক আমলের ঝুড়ি আর ভারী হয় না। মহান, দয়াশীল আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয় না। অথচ এ মাসে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশী সময় পাওয়া যায় স্কুল, অফিসের টাইম কমে যায় বলে। তাই এ সময়টাকে ইবাদতের জন্য পুরোপুরি কাজে লাগানো উচিত ।

রমাদান আমাদের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে। যারা এখনো বুঝতে পারছেন না কিভাবে প্ল্যান করলে রমাদানের সময়টাকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগানো যায়, তাদের জন্য এ লেখা।

রামাদানের প্ল্যান কে আমি দু’ভাগে ভাগ করেছি:-
১. সাংসারিক কাজ ভিত্তিক
২. ইবাদত ভিত্তিক

আজ শুধু সাংসারিক কাজের প্ল্যান নিয়ে আলোচনা করবো। পরবর্তী পর্বে ইনশাআল্লাহ্‌ থাকছে ইবাদত ভিত্তিক কাজের প্ল্যান।

সাংসারিক কাজ ভিত্তিকঃ
——————————————-
(ক) রামাদানের আগে প্রস্তুতিমূলক কাজঃ
★ খাবারের শুকনো আইটেম গুলি রামাদানের আগেই কিনে রাখবেন, যেন রামাদানে আর না কিনতে হয়। একমাসের জন্য না হলেও অন্ততঃ পনের দিনের জন্য। খেজুর, পোলাওর চাল, ডাল, ছোলা, বেসন, পাস্তা , নুডলস, চিড়া , মুড়ি, চিনি, সেমাই, মশলা, পেঁয়াজ, রসুন, বাদাম ইত্যাদি। কেনার পর সুন্দর ভাবে নির্দিষ্ট জার, বয়াম, কন্টেইনারে গুছিয়ে রাখুন। নাম লিখে রাখুন প্রয়োজনের সময় যেন সহজেই পেতে পারেন।

★ পুরো কিচেন পরিষ্কার করে নেবেন । কিচেন ক্যাবিনেট বা শেল্ফ পরিষ্কার করে সেখানে তেলাপোকা মারার চক দিয়ে দাগ টেনে ক্যালেন্ডার বা পেপার বিছিয়ে দিবেন । পোকামাকড় আসবে না।

★ রেফ্রিজারেটর, ফ্রীজ পরিষ্কার করে লেবুর ছোট টুকরো দিয়ে রাখুন। আইস বক্স, পানির বোতল ভালোভাবে ধুয়ে রাখবেন। এ গরমে কাজে লাগবে।

★ ফ্যান, দরজা বা জানালার গ্লাস, গ্রিল, বাসার বিভিন্ন শো পিস ভালো ভাবে মুছে পরিষ্কার করে নেবেন। যাতে রামাদানে বেশী প্রেসার না পড়ে, তখন হালকা মুঝে নিলেই চলবে।

★ অভেন বিপদের বন্ধু, সময় বাঁচায় আলহামদুলিল্লাহ্‌। বাসায় অভেন থাকলে এটাও ভালো ভাবে ক্লীন করে রাখবেন।

★ বাথরুম যদিও প্রতি সপ্তাহে ধুতে হয়, তবু রামাদানের আগের দিন খুব ভালো ভাবে পুরো বাথরুমের টাইলস্, ফিটিংস ক্লীন করে নেবেন। তাহলে রামাদানে কষ্ট কম হবে।

★ বাসার ভারী কাপড়, পর্দা, সোফার কভার, মশারী এগুলি আগেই ধুয়ে রাখবেন। রামাদানে যেন না ধোয়া লাগে। নিজে ধোন বা সাহায্যকারীকে দিয়ে ধোয়ান। অধীনস্থদের কাজের চাপ কমিয়ে দেয়ার নির্দেশ আছে।

★ কার্পেট, ফ্লোরম্যাট, শতরন্জি, পাপোশ ক্লীন করে রাখবেন।

★ 🍀 জায়নামাজ, সালাতের ড্রেস বা যিলবাব , টুপি ধুয়ে রাখবেন।

★ 👚👕 যারা ঈদের জন্য পছন্দের জামা সেলাই করে নেন তারা এখনই কাপড় কিনে তা করে নিতে পারেন অনলাইনে বা অফলাইনে । আর যারা রেডীমেড কিনতে ইচ্ছুক তারা এ সময় থেকে শপিং করে নিতে পারেন। কারণ প্রচন্ড গরমে বা ভীড়ে রামাদানে শপিং এ না বের হওয়াই উত্তম। আর মহান আল্লাহর কাছে পছন্দের জায়গা হলো মসজিদ, অপছন্দের জায়গা হলো মার্কেট। তাই রামাদানে মার্কেট যথাসম্ভব এভয়েড করুন।

★ 👗👜 কাউকে সাদাকা বা হাদিয়া অর্থাৎ গিফট দিতে চাইলে সেটাও আগেই কিনে রাখবেন।

★ 🍚🍙 আদা, রসুন, পেঁয়াজ এক মাসের জন্য বেটে অথবা ব্লেন্ড করে রাখবেন। একটু সয়াবিন তেল মেখে রাখলে ভালোও থাকবে, রংটাও সুন্দর থাকবে।

★ 🍤🥩 মাছ, মাংস সম্ভব হলে একমাসের, না হলে পনেরো দিনের জন্য কেটে, পরিষ্কার করে রান্নার পরিমান অনুযায়ী আলাদা আলাদা প্যাকেটে রাখুন।

(খ) রামাদান চলাকালীন কাজঃ
—————————————–
ইফতারের সময় বা সেহরীর সময় যেন তাড়াহুড়ো না লেগে যায়; সুন্দর ভাবে, পরিবারের সবাই বসে যেন খেতে পারি, খাওয়ার আগে, পরে দুআ পড়তে পারি সেজন্য আমরা কিছু কাজ এগিয়ে নিতে পারি। কখনোই ইফতারীতে আধিক্য করা উচিত হবে না। রসনা বিলাস নয়, সংযম সাধনই এ মাসের শিক্ষা। পরিবারের সবাই যাতে ইফতারীর কম আইটেমে সন্তুষ্ট থাকে, সেটা ওদের বোঝাতে হবে। কারণ বেশী ইফতারী আইটেম তৈরিতে অনেক সময় নষ্ট হয়, বেশি পরিশ্রমের ফলে শরীর দুর্বল হয়ে গেলে তখন আর ইবাদত করার শক্তি থাকে না। তাই সুস্থ, সবল থেকে, সময়ের সুষ্ঠু ব্যবহার করে আমরা সবাই যেন আল্লাহর ইবাদত করতে পারি সে জন্য সঠিক পরিকল্পনার পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দুআ করতে হবে। আল্লাহ্ই তো আসল ও উত্তম পরিকল্পনাকারী, সাহায্যকারী।

★ পানি, জুস বা শরবতের বদলে ইফতার শুরু করুন খেজুর দিয়ে। এটি সুন্নাত ।

★ ইফতারের আগে অনেক কাজ জমে, তাই আসরের আগে বা আসরের পর পরই তাজা ফলের জুস বা অন্য শরবত বানিয়ে বোতলে নিয়ে ফ্রীজে রেখে দিন।

★ বিভিন্ন তাজা ফলের (আম, পেঁপে, লেবু , তরমুজ, বেল, নাশপাতি, আনারস ইত্যাদি) জুস, ঘরে বানানো লাচ্ছি 🥛🥛 ইত্যাদি ইফতারীতে রাখলে তৃষ্ণা মিটবে — সে সাথে শরীরও সতেজ থাকবে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকার স্যুপও ইফতারীর আইটেম হিসেবে সহজপাচ্য।

★ ভাজা পোড়া কম খেয়ে তাজা ফল বেশি খেতে হবে। দই- চিড়া খাওয়া যায়। পেট ভালো ও ঠান্ডা থাকে ।

★ ইফতারীতে বিভিন্ন রকম ফলের রায়তা🥗 বিভিন্ন রকম সবজির 🥕🥒🌶সালাদ রাখা যায়। পুষ্টির সাথে সাথে পানি শূন্যতাও পূরণ হবে।

★ ফালুদা বানালে তার জন্যেও নুডলস , সাগুদানা আগে সিদ্ধ করে রাখা যায়। দুধ ঘন করে, সিরাপ তৈরি করে ফ্রীজে রাখা যায়. ..।

★ দুধ, 🥛🥛বাদাম 🥜🥜দিয়ে ফিরনি বা পায়েসও মাঝে মাঝে করা যায়। এক্ষেত্রে ফিরনির চাল, বাদাম এগুলো আগেই হাফ ব্লেন্ড করে রাখতে পারেন।

★ পাস্তা, নুডুলস রান্না করলেও মাংস, সব্জি, পাস্তা আগে সেদ্ধ করে রাখা যায়। রান্নার সময় কম সময় লাগে।

★ ইফতারির আইটেম হিসেবে খিচুড়ি 🥘🥘 একটি খুব ভাল আইটেম। এতে আমিষ এবং শর্করা দুটিই থাকে। পুষ্টি উপাদানে ভরপুর খিচুড়ি খেলে কম সময়ে শরীর এনার্জেটিক হয়ে উঠবে। রাইস কুকার অথবা প্রেশার কুকারে রাঁধলে, নাম মাত্র তেল ব্যবহার করলেই চলে। মাংস দিয়ে রান্না করলে আগেই মাংস রান্না করে রেখে দেবেন।

ফ্রায়েড রাইসের জন্য চাল, সবজি আগে সেদ্ধ করে রাখা যায়। আর চিংড়িটা ও আগেই ভেজে ফ্রিজে রাখা যায়। তাহলে ইফতারী তৈরিতে সময় কম লাগবে।

★ যাদের পেঁয়াজু ছাড়া চলবেই না, তারা পেঁয়াজুর জন্য ডাল প্রতিদিন না বেটে তিন /চার দিনের জন্য অথবা এক সপ্তাহের জন্য বেটে নিতে পারেন। এরপর খুব সামান্য হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে আলাদা আলাদা বক্স বা জীপলক ব্যাগে ডীপে রেখে দেবেনয। ভাজার কিছু সময় আগে নরমাল করে পেঁয়াজ, মরিচ, অন্যান্য উপকরণ দিয়ে মেখে ভেজে নেবেন। এ ডাল এক মাসের জন্য ও স্টোর করা যায়।

★ ছোলা প্রতিদিন সিদ্ধ না করে তিন/চার দিনের বা এক সপ্তাহের জন্য একসাথে সিদ্ধ করে নিবেন। শুধু হলুদ, লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে ভাজার সময়ে পেঁয়াজ, মরিচ বা অন্যান্য মশলা দিয়ে ভেজে নিতে পারেন। অথবা সব মশলা দিয়ে সিদ্ধ করে রেখে ভাজার সময়ে শুধু পেঁয়াজ, মরিচ দিয়ে ভাজতে পারেন। আলু বা টমেটো দিতে পারেন যার যার রুচি মতো।

★ আলুর চপ বা বেগুনির জন্য আমরা যে ডো করি তা একদিন করে দুদিন বা তিন দিন ইউজ করা যায়। তৈরি করেই কিছুটা আলাদা করে ফ্রীজে রেখে দিতে হবে। তেমনি ভাবে আলুর চপের জন্য বানানো আলুর বল ও এয়ার টাইট বক্সে দু/তিন দিন রাখা যায়।

★ পেঁয়াজ যদিও তাজা কেটে খাওয়া ভালো, তবুও যাদের ছোট বাচ্চা আছে তারা পরিশ্রম কমিয়ে নেয়ার জন্য এক সপ্তাহের জন্য পেঁয়াজ কেটে একটু সয়াবিন তেল মেখে পলি প্যাকে রাখবেন। পলি প্যাক থেকে অবশ্যই বাতাস বের করে নেবেন। ছোট ছোট পলি প্যাক একটা বক্সে রেখে নরমালে রেখে দেবেন। (এটা অবশ্যই নিরুপায় মায়েদের জন্য, যারা ছোট বাচ্চা নিয়ে হিমশিম খায় বা অসুস্থ।)

★ মাছ, মাংসে টমেটো🍅🍅 দিতে চাইলে টমেটো কেটে পানি শুকিয়ে ডীপে রাখবেন। শক্ত হয়ে গেলে সবগুলো একসাথে পলি প্যাকে রেখে দেবেন। প্রয়োজনের সময় যতটা লাগে নিয়ে নেবেন।

★ এভাবে ধনেপাতা কুচি করে আইস বক্সে জমিয়ে রাখলে প্রয়োজনের সময় খুব দ্রুত ইউজ করতে পারবেন। সময় সাশ্রয় হবে ।

★ অতি ব্যস্ত বা ছোট বাচ্চার মায়েরা ছোলা তিন/চার দিনের জন্য ভেজে রেখে প্রয়োজন মতো গরম করে খেতে পারবেন। খেজুর আগেই বেশী পরিমাণে ধুয়ে ফ্রীজে রাখবেন । ইফতারের সময় বাচ্চা নিয়ে যাতে কষ্ট কম হয়। দু’/তিনজন লোক হলে সেহরীর জন্য তরকারি বাটিতে আগেই নিয়ে রাখবেন। তাহলে সেহরীর সময় বাচ্চা হয়তো খেতে চাইলো তখন আর ঝামেলা হবে না। ঝটপট অভেনে গরম করে নিলেই হলো ।

★ ছোট্ট বাচ্চার মায়েদের পাশাপাশি অন্যরা সেহরীর জন্য প্রয়োজনীয় প্লেট, বাটি, চামচ ঘুমানোর আগে ধুয়ে টেবিলে ঢেকে রাখবেন । কারণ অন্য সময় না পারলেও রামাদানে অন্তত তাহাজ্জুদ পড়ার অভ্যাস করা উচিত।

এভাবে প্ল্যান করে কাজ করলে সহজেই ইবাদত করা যাবে। ইবাদত ধীরে, সুস্থে করা যাবে ।

★★ খাবারের ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে বেশী আইটেম যেন না হয়। এতে একদিকে সময়ের অপচয় হবে এগুলো তৈরি করতে, পরে ইবাদত বেশি ও ভালোভাবে করা যাবে না। কারণ শরীর কিছুটা হলেও দূর্বল থাকবে। বেশী খেলে, বেশী পরিশ্রম করলে ঘুম ঘুম ভাব আসে, যা ইবাদাতের জন্য ক্ষতিকর । আবার বেশী খাবার নিজেরা খেলে টাকারও অপচয়। ঐ খাবার অন্য কয়েক জন অভাবী লোক খেতে পারতো ।

তাই অন্য সময়ের পাশাপাশি রামাদানে খাবারের ব্যাপারে সংযম সাধন করতে হবে ।

★ অনেকেরই বিভিন্ন কারণে মাঝে মাঝে শরীর অসুস্থ থাকে। পেট ব্যথা, কোমর ব্যথা থাকে। তখন কাজ করতে অনেক কষ্ট হয় । সেক্ষেত্রে আপুরা কিছু মাছ, মাংস হাফ রান্না বা পুরোপুরি রান্না করে ডীপে রেখে দেবেন। ঐ সময়গুলোতে বেশ সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ্।

প্রতিটি মানুষের পরিস্থিতি ভিন্ন। আমরা যে যার পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ্। অবশ্যই আল্লাহ্ অন্তর্যামী — কারো উপর তিনি তার সাধ্যাতীত বোঝা চাপিয়ে দেন না। ইনশাআল্লাহ্‌ একটু প্ল্যান অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে আল্লাহ অনেক সহজ করে দেন।

…………………………
পবিত্র রামাদানের প্রস্তুতিমূলক পরিকল্পনা (সাংসারিক কাজ)
ইসমাত কনক

মে ১৩, ২০১৮ইং