কালবৈশাখী


” ইসলামে কী মা বাবার কথার গুরুত্ব দিতে বলা হয়নি?” রেবা হতাশ হয়ে অথৈ এর দিকে তাঁকায়। শর্ট বোরকা পরেছে অথৈ। টিফিনের টাকা জমিয়ে কিনেছে বোরকাটা। মাত্র অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে অথৈ। মাথার শিরা উপশিরা দপদপ করছে রেবার, সব নিশির দোষ!
” অবশ্যই মা। তবে আল্লাহর হক আদায় করে তারপর।” আনারসের জেলিটা পাউরুটিতে ঘষতে ঘষতে বলে অথৈ। ওর বাবা অনি এমন একটা ভাব নিয়ে ডান হাতে মোবাইল চালিয়ে বা হাতে নাস্তা সারছে যেন কিছুই শুনছে না। যদিও টেবিলের বাকি দুইজন ঠিক জানে প্রতিটা কথাই অনির কানে ঢুকছে।

“আমি আর তোমার বাবা হলফ করে বলতে পারি, কুরআনের কোথাও বোরকা পরার কথা নেই। তুমি শালীন পোশাক পর অথৈ, সেটাই যথেষ্ট। “
“মা! কুরআনে জিলবাব শব্দটি আছে, যার অর্থ বহিরাবরণ। গার্মেন্টস আর আউটার গার্মেন্টস এর মাঝে নিশ্চয়ই তফাৎ আছে তাইনা?”

” আউটার গার্মেন্টস হিসেবে একটা বড় ওড়না পর, জিলবাব মানে বোরকা এটা নিশ্চয়ই নিশি বলেছে তোমাকে?” বিরক্তি নিয়ে অথৈ এর দিকে তাকায় রেবা।
“এর মধ্যে নিশিপুকে টানছো কেন? একটা বড় ওড়না দিয়ে কতটুকু ঢাকবো মা? জিলবাব দিয়ে আপাদমস্তক ঢাকতে হয়।”

“শর্ট বোরকা দিয়ে বুঝি ঢাকতে পারবে?”
“অন পয়েন্ট মা! আসলে ফতুয়া জিন্সের লাইফ থেকে এক ধাক্কায় লং আবায়া ক্যারি করতে পারবো কিনা আই এম কিন্ডা কনফিউজড!” চেয়ার পিছিয়ে উঠে দাঁড়ায় সে, দুই মিনিটে নাস্তা শেষ!

“বের হচ্ছি মা! আসসালামু আলাইকুম।”
চিন্তিত মুখে অনির দিকে তাকায় রেবা।
“মা! সালামের উত্তর দেয়া কিন্তু ওয়াজিব!” অনুযোগ করে অথৈ।

অভ্যাসবশত “ওয়ালাকুমস্লাম” বলতে গিয়েও “ওয়ালাইকুম আসসালাম” বলে রেবা।
অথৈ বের হওয়ার সাথে সাথে অনিকে ধরে রেবা। “কি করবো অনি? তুমি কেন কিচ্ছু বলছো না?”
” নিশিকে বাদ দিয়ে দাও। চোখের আড়াল তো মনের আড়াল, ইসলাম ইসলাম খেলা সেড়ে যাবে।”
“কৃতজ্ঞতাবোধ বলেও তো একটা কথা আছে। আমার মেয়েটাকে ঐ তো সুস্থ করে তুললো।”

“এখন কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে কি নিজের মেয়ের এই সাম্প্রদায়িকতা-পশ্চাৎপদতা সইতে হবে নাকি! যাই হোক! মনে রেখো আগামীকাল পহেলা বৈশাখ। টিভি, ওয়াইফাই সব বন্ধ থাকবে। অথৈ’র স্বস্তি আমাদের স্বস্তি। যেহেতু এইবার গতবারের মতো ঢাকা ছাড়তে পারছি না, তাই দাড়োয়ান চাচাকে বলে দিও, যেই আসুক কাল বলবে যে, আমরা বাসাই নেই।”

“হুম! তা তো অবশ্যই।” রেবা একমত হয়। ভোর সকালে ছায়ানটে না যেতে পারার দুঃখটা ভাবায় না ওকে। দুই বছর আগের অন্ধকার দিনটার কথা মনে পড়ে। হাত থেকে ছুটে গেছে অথৈ, সাদা শাড়ি লাল পাড়ে কিশোরী অথৈ। মা বাবার বাবুটাকে নরপিশাচরা কিভাবে অসম্মান করতে পারলো। পড়ে থাকা শাড়িটা কোনোভাবে পেচিয়ে দিয়েছিল অনি হতবিহ্বল অথৈ এর গায়ে। তার আগেই ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ার মতো কিছু ছবি উঠে গিয়েছিল, বাবার শরীর দেয়াল হয়েছিল বলে মুখটা স্পষ্ট হয়নি।

অনির বন্ধু চন্দ্রিমা ঠিকই চিনে অনিকে ফোন দিয়েছিল। খুঁটিয়ে শুনেছিল সব, শুধুই কি লাঞ্চনা নাকি ধর্ষণ কেইস। তারপর সারারাত ফোন আর বেল, সবই চন্দ্রিমার রসালো ফেসবুক স্টেটাসের পর। শেষে we want justice লিখে হ্যাশট্যাগ দিলেও চন্দ্রিমার মতো লাইক ব্যবসায়ী যে কত বড় ক্ষতি করেছিলো, রেবা কোনোদিন ভুলবে না।একদিকে শুভাকাঙ্ক্ষীদের আহা উহুর সাথে ডিটেইলস জানার ইচ্ছা আর একদিকে পাথর স্তব্ধ আতংকিত অথৈ। টিউশন মিডিয়ার মাধ্যমে পাওয়া নিশিকে খুব একটা পছন্দ করতো না রেবা। বুয়েটের ছাত্রী আর ক্ষতিকর না বুঝেই কালো বস্তা পরা মেয়েটাকে অথৈকে পড়াতে দিতে রাজি হয়েছিল। ঐ কঠিন সময়ে যখন আকাশের চাঁদ এনে দিলেও অথৈ এর ট্রমা কাটবেনা মনে হচ্ছিল, তখন নিশি আস্তে আস্তে অথৈকে স্বাভাবিক করে ফেললো। নিশিকে রেবা কিভাবে না করবে?


মাসের মাঝখানে টিউশনটা চলে গেল। আল্লাহর ফয়সালা, আল্লাহ যা করেন নিশ্চয়ই বান্দার ভালোর জন্যেই। অথৈ এর আম্মু যত যাই বুঝাক না কেন নিশি ঠিক বুঝতে পেরেছে কারণটা কি! অথৈ এর পরিবর্তনটা ওর সংস্কৃতমনা মা বাবা মেনে নিতে পারছে না। আন্টি জোর করে পুরো মাসের টাকা দিয়ে দিয়েছে, নিশির কোনো না-ই শোনেননি। কিন্তু এভাবে কী অথৈকে দ্বীনের পথ থেকে সরানো সম্ভব! ইন শা আল্লাহ না। নিশি কোনোদিন ভাবেনি উরাধুরা আর রাবিন্দ্রিক ভাবের ককটেল টাইপ মেয়েটা দ্বীনের পথটা বেছে নিবে। আল্লাহর পরিকল্পনা ভিন্ন ছিল।

অথৈ পড়বে না জেনেও আন্টির অনুরোধে গিয়েছিল সেদিন নিশি। শেষ তিন চারদিনের মতো বারান্দার দরজা চাপিয়ে ঘর অন্ধকার করে বসেছিল মেয়েটা।
নিশি সালাম দিয়ে বসে চেয়ারে। সালামের জবাব আসে না। ঘরে সুগন্ধি সাবানের গন্ধ। অথৈ দিনে পাঁচবারেরও বেশি গোসল করে এখন, আন্টি জানিয়েছে। বিড়বিড় করে দরুদে ইব্রাহিম পড়ে মেয়েটার জন্যে দুআ করে নিশি। হঠাৎ নিরবতা ভাংগে অথৈ, “পোশাকই নাকি মলেস্টেড হওয়ার মূল কারণ?”

কিছুক্ষণ ভাষা খুজে পায় না নিশি।
“পোশাক মূল কারণ এটা কখনোই বলা যাবে না। মেয়েদের সাথে যারা অন্যায় করে তাদের মূলত আল্লাহর ভয় নেই। আল্লাহর ভয়টা পরিবার থেকে শেখাতে হয়। আমাদের পরিবারগুলো এখন তাসের ঘরের মতো। শক্ত কোনো ভিত্তি নেই, কুরআন হাদীসের চর্চা তো দূরের কথা, সবাই একসাথে বসে সিনেমা দেখে। একটা ছেলে স্কুলে পড়ার আগেই জানে যাকে ভালো লাগবে তাকে চাইলে জোর করে তুলে নেয়া যাবে এবং একদিন এই মেয়েটাই তাকে ভালোবাসবে। কয়েকবছর পর হয়তো সে ব্লুফিল্ম দেখতে অভ্যস্ত হবে, সে যা দেখছে তা চ্যানেল করার সুযোগ খুজবে; যেহেতু তার আল্লাহর ভয় নেই। সবাই একরকম খারাপ না, কেউ চোখের জিনা করবে, কেউ মনের, কেউ সরাসরি মেয়েদের অসম্মান করবে। এখন যে মেয়েটা পর্দা করে, ভিড় এড়ায়, মাহরাম- নন মাহরাম মেইনটেইন করে সে হয়তো অনেকক্ষেত্রেই বেঁচে যাবে। কিন্তু যার মনে পাপ সে ৫ মাসের শিশু থেকে নিকাবি মেয়ে কাউকেই সুযোগ পেলে ছাড়বে না।”

একটানে কথাগুলো বলে থামে নিশি।
“মাহরাম, নন মাহরাম কি? আর হজ্জে তো ঠিকই সবাই ভিড়ের মধ্যে যায়।” অনেকদিন পর অথৈ’র মুখ খুলেছে।

“যেসব পুরুষ আত্মীয়ের সামনে তোমার পর্দা করার দরকার নেই তারা মাহরাম। বাকিরা নন মাহরাম। হজ্জ মেয়েদের জন্যে জিহাদের মতো অথৈ। স্বাভাবিক সময়ের নিয়ম আর জিহাদের নিয়ম কী এক হবে?”
“তাই বলে ভিড়ে কোনো মেয়ে গেলেই তার সাথে যা খুশি করা যাবে?” আধো আলো আধো ছায়াতে মেয়েটার চোখগুলো জ্বলজ্বল করে। ঘৃণা, রাগ, হতাশা সব যেন একীভূত হয়েছে।

” না নিশি। মেয়েরা ইসলামে খুব খুব দামি। যে কারণে যে মেয়েদের সম্মানহানি করবে তাকে জিনা ব্যাভিচারের কুরআন বর্ণিত শাস্তি থেকে শুরু করে হত্যা পর্যন্ত করা যাবে। তবে এই শাস্তি কার্যকর করতে পারবে শুধুমাত্র ইসিলামিক রাষ্ট্রের প্রধান। কেউ আইন নিজের হাতে তুলবে না।” নিজের বাকপ্রতিভায় নিজেই চমকে যাচ্ছে মুখচোরা নিশি।
“জিনা ব্যভিচারের শাস্তি কি?”
“অবিবাহিতরা করলে বেত্রাঘাত আর বিবাহিতরা করলে পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা। কিন্তু চারজন সাক্ষী দ্বারা প্রমাণিত হতে হবে বা অপরাধী দুইজনকেই স্বীকার করতে হবে। আর ধর্ষণের ক্ষেত্রে আসামী অবিবাহিত হলেও মৃত্যুদন্ড কায়েম করা যাবে। কারণ সে জমিনে ফিতনা ছড়াচ্ছে আর মুসলিমদের কাছে অন্যতম বড় সম্পদ হলো মেয়েদের সম্ভ্রম।”

“তারমানে ধর্ষিতার কোনো শাস্তি নেই?”
” কি বলো এসব? ভিক্টিমের শাস্তি কেন হবে?”
“না… মানে….মহানবীর সময় নারীদের অসম্মানকে কিভাবে ডিল করা হতো একটু বলবে?”
“মদীনা সনদের কথা তো ক্লাস ফাইভেই পড়েছ। ইহুদীদের সাথে মুসলিমদের চুক্তি ছিল। শান্তিপূর্ণ ভাবে ইহুদি মুসলিম মদীনায় থাকবে এমন চুক্তি হয়েছিল । একবার এক মুসলিমাহ ইহুদিদের থেকে পণ্য কিনতে যায়। সে যখন জিনিস দেখতে বসেছিল তখন তার জামাটা পেছনে….. “
“আমি বর্ণনা শুনতে চাইনা। সেই ঘটনার পর কি হলো।” মুখ চোখ শক্ত করে ফেললো অথৈ।

“তার অসম্মানে ইহুদিরা হাসছিল দেখে একজন মুসলিম সাথে সাথে ঐ ইহুদির মাথা ফেলে দেয়। অন্য ইহুদিরাও তার মাথা ফেলে দেয়। এভাবে চুক্তি ভংগ করে তারা। রাসুলুল্লাহ (সা:) ঐ ইহুদি গোত্রকে অবরোধ করে রাখেন ১৫ দিন। আত্মসমর্পণের পর তাদেরকে মদীনা ছাড়া করেন। সবচেয়ে বড় কথা কি জানো? একটা ইসলামি রাষ্ট্রে শাস্তি ঠিকমতো কায়েম করা হলে পাপ এমনি কমে যাবে। সবাইকে সবার দায়িত্বটা পালন করতে হবে। চোখের হেফাজত করা, পর্দা করা ; আসল কথা আল্লাহকে ভয় করে চলা। আজকে যারা এমন করছে হয়তো সঠিক দাওয়াহ পেলে তারা তওবা করে ভালো হতে পারে।”

“তওবা করে তারা জান্নাতি হয়ে যাবে?”
” ভিক্টিম মাফ না করা পর্যন্ত যেতে পারবে না।”
“আমি কোনোদিন মাফ করবো না!” দৃঢ় গলায় বলে অথৈ।
“সেই অধিকার তোমার আছে।”

সেইদিনের পর ইসলাম নিয়ে অনেক প্রশ্ন করতো অথৈ। কখনো পড়ে, কখনো লিংক বা বই দিয়ে জবাব দিতো নিশি। এভাবে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনে ফিরলো অথৈ।

“প্রিয় নিশিপু,
তুমি হয়তো জানো না তুমি আমার জীবনের কতো বড় ব্লেসিং। ছোটবেলা থেকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল আর শিল্পকলা একাডেমির ছাত্রী হওয়ায় আমি দুটো ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ দেখে বড় হয়েছি। এর বাইরেও যে এই দেশের মানুষদের মুসলিম হিসেবে একটা কালচার আছে সেটা আমি কখনো খেয়াল করিনি। ইসলাম বলতে আমি বুঝতাম কোনোমতে কায়দা আমপারা পড়তে শেখা। ইচ্ছে করলে মাঝে মাঝে নামায পড়তাম। শুধু নানী দাদী টাইপ মানুষ ছাড়া আমার গন্ডির কেউ নামায রোযা পর্দা নিয়ে চিন্তা করতো না। তাদের জীবনে কোথাও একটা বড় শূন্যতা আছে যেটা তারা শিল্প বা ভ্রমণ দিয়ে পূর্ণ করতে চায়। তোমাকে যখন প্রথম দেখি তখন ভিন্ন কালচারের কারণে আকৃষ্ট হলেও তোমার কালচার এডপ্ট করতে চাইনি। কারণ বৌদ্ধ পূর্ণিমায় ফানুস উড়িয়ে, পুজার সময় মন্ডপে গিয়ে বা ক্রিসমাসে পার্টিতে গেলেও আমি মাসজিদ পিপলদের সাথে ইউজড টু ছিলাম না। সত্যি বলতে আমার কালচার কোথাও আমাকে ইংগিত দিত ইসলাম ইলজিক্যাল, ইর‍্যাশনাল। একদিনের কালবৈশাখী আমার জীবন তছনছ করলো কিন্তু আরেক জীবন দিল। সাতদিন ধরে একা ঘরে যখন কোনো এন্টিডিপ্রেসেন্ট টেবলেট বাঁচাতে পারছিল না তখন বনু কায়নুকা গোত্রের দ্বারা হ্যারাস হওয়া মদীনার মুসলিম মহিলাটা আমার হাত ধরল। বন্ধুদের ফেইসবুক পোস্টে ঝড়- ‘পোশাক দায়ী বা পোশাক দায়ী না’ আর আমার কানে বাড়ি খাচ্ছিল না। আচ্ছা ঐ মহিলা কী আত্মহত্যা করেছিলেন, সারা জীবন ডিপ্রেশনে ছিলেন? নাকি তার পক্ষ থেকে প্রতিশোধ নেয়া হয়েছিল বলেই সে সব ভুলে গিয়েছিল? আমার পক্ষ থেকে কেউ প্রতিশোধ নিতেই পারেনি। ভিড়ের মধ্যে ওরা মিশে গিয়েছিল। আমার বাবা মা আমাকে রবকে চেনায়নি কিন্তু জানো সেদিনের পর থেকে আমি তাদের প্রতি আরো কৃতজ্ঞ। প্রতিদিন একজন একজন মানুষকে আমাদের জীবন থেকে ছেটে ফেলা হচ্ছিল। যারাই আমাকে নেতিবাচক কথা বলবে তারাই আউট। এক আন্টি এসে বলেছিল ইসলামি শাসন হলে নাকি ক্রিমিনালের সাথে ভিক্টিমেরও শাস্তি হয়, বা কলংকীনীকে (!!) বিয়ে দেয়া হয় ক্রিমিনালের সাথেই। আমি জানিনা এসব আজগুবি তথ্য মানুষ কই পায়। অবশ্য আমি নিজেই তো ঐ দলের মানুষ ছিলাম। তুমিই আমার বেস্ট কাউন্সেলর হলে, দিনের পর দিন স্বল্পভাষী তুমি কত বকে গেলে।

ঐদিনের দু:সহ স্মৃতি কোনোদিন ভোলা সম্ভব না হয়তো, কিন্তু আমি জানি এটা রবের পক্ষ থেকে পরীক্ষা। আগের জেনেরেশন আল্লাহর টেস্টে অধৈর্য হয়ে বলেছিল, আল্লাহর সাহায্য কোথায়? আমি কিভাবে টেস্ট ছাড়া সার্টিফিকেট পাবো? বৈশাখ আসলে ছায়ানটে গান না গাইতে পারার আফসোস নেই, বরং অতীতের ভুলগুলোর জন্যে আফসোস হয়। মংগল শোভাযাত্রার শিরকী কাজে যুক্ত ছিলাম ভাবতেই কষ্ট লাগে।

নিশিপু, আব্বু আম্মু চায়না আমি তোমার সাথে মিশি। কিন্তু তারা বুঝছে না, আল্লাহ যদি কাউকে পথ দেখান তাকে পথহারা করার কেউ নেই। আমার জন্যে অনেক দুআ করো। ইন শা আল্লাহ দেখা হবে।

বিঃ দ্রঃ বাংলিশ চিঠিটা কষ্ট করে পড়ে নিও। জানোই তো তোমার অথৈ হাইব্রিড বাঙ্গালী মুসলিমা। “

ফেইসবুক ম্যাসেজটা পড়ে হাসে নিশি। মনে দুআ চলে আসে, ” হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী, দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত রাখো আমাদের অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর।”

কালবৈশাখী
উম্মে লিলি

(১৩/০৪/২০১৯)