সমতা নাকি সম্মান? 

হাসনিন চৌধুরী

নারী পুরুষ সমতা বিধান নিয়ে যারা উচ্চকিত হয়, সেই নারীও কিন্তু বিয়ের সময় নিজের চেয়ে যোগ্য (অন্তত নিজের চেয়ে কম কোয়ালিফাইড নয়) এমন বর খোঁজেন।

সাধারণত স্ত্রীরা যদি আয় না করে, খুব কম স্বামীই এতে বিরক্ত হয়, স্ত্রীদের সারাজীবন খাওয়ানো পড়ানোকে তারা বোঝা মনে করেন না।

কিন্তু কোন স্ত্রী যদি দেখে তার স্বামী চাকরি ছেড়ে ঘরে বসে আছে, তখন কিছুদিনের মাঝেই বিরক্ত হয়ে যাবে, হয়তো বা কামাই না করায় খোঁটাও দেবে!

আবার যেসব পুরুষগণ সম অধিকারের আন্দোলনে যোগদান করেন, তাদেরকে ও দেখা যায়, স্ত্রী যদি অধিক বেতন পান বা বেশী শিক্ষিত হন, তখন ইনফিরিওরিটি কম্পলেক্সে ভুগতে। এবং ছোট খাট সমস্যাতে ইগো প্রবলেম নিয়ে আসতে…

ফিতরাতের বাইরে গেলে এমনই হয়…

নারী ও পুরুষকে ‘সমান’ করার চিন্তা করাও বোকামী। লবন ও চিনি র স্বাদ যদি একই হয় অথবা আগুন ও পানি যদি একই উপযোগীতা পূর্ণ করে, তাহলে জীবন যেমন স্বাদহীন হয়ে যাবে..

নারী ও পুরুষকে একই সমান করতে গেলে, পৃথিবীও তেমনি স্বাদ-গন্ধ-বর্ণ হীন হয়ে যাবে।

নারীকে পুরুষের মতো তৈরি করতে চাওয়ার মাঝেই নারীকে সবচেয়ে বড় অবমাননা করা হয়। নারীর সৌন্দর্য নারীত্বে ও পুরুষের সৌন্দর্য পৌরুষ্যে!

উভয়েই যখন যার যার মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা, সহজাত আচরণ অনুযায়ী নিজেকে উন্নত করতে পারবে, তখন সমাজ আপনাতেই সুন্দর হবে।

তখন আর পার্থিব যোগ্যতার কম-বেশী নিয়েও ইগো ক্ল্যাশ হবে না এবং প্রত্যেকে অপরের কাজকে শ্রদ্ধা করবে।

আসলে নারী পুরুষের ‘সমতা’ আমাদের দরকার নেই। আমাদের প্রয়োজন এমন একটি মানসিকতা, যা দ্বারা নর ও নারী দু জনেই দু জন কে “সমহারে শ্রদ্ধা” করতে শিখবে।