সুকুন

বিয়ের পর স্বামী স্ত্রীর একত্রে থাকতে পারাটা যে আল্লাহ্‌র কত বড় রহমত, তা যাদের স্বামী প্রবাসী কিংবা কোন আবশ্যকীয় কারণে যারা ভিন্ন স্থানে থাকতে বাধ্য হোন, তারা ছাড়া অন্যরা সহজে অনুধাবন করতে পারবে না। 

আমরা প্রতিদিন আল্লাহ্‌র অজস্র নিয়ামতের মাঝে ডুবে থেকে যেমন সেসব নিয়ামতের গুরুত্ব স্বীকার করতে ভুলে যাই, ঠিক তেমনি ভাবে যারা প্রতিদিন এক ছাদের তলে থাকে, তারা একে অন্যের পাশে থাকতে পারাটাও যে ‘সৌভাগ্য’, তা ভুলে যায়!!

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, দম্পতিরা অহেতুক একে অন্যের দোষ খুঁজে, অন্যদের স্বামী-স্ত্রীর সাথে নিজেদের স্ত্রী অথবা স্বামীর তুলনা করে, তুচ্ছ কারনে কথা কাটাকাটি করে, ইত্যাদি নানা ভাবে নিজেদের জীবনের কতইনা মূল্যবান সময় নষ্ট করে!! 

তার চেয়ে একে অপরের প্রতি মমতাবান হয়ে, পাশের মানুষটির সংসারের প্রতি দেয়া শ্রম ও ত্যাগের স্বীকৃতি দিয়ে, পরষ্পরকে সম্মান করলে কি খুব বড় ক্ষতি হয়ে যায়!

অনেকে বলে তাদের স্ত্রী ঝগড়াটে কিংবা স্বামী বদমেজাজি। তারা যদি আগে ‘নিজেকে’ পারফেক্ট সংগী তে পরিণত করে, তখন অপরজন ও ধীরে ধীরে সংশোধিত হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ্‌!

(তবে এক্ষেত্রে সবার আগে নিজের সাথে আল্লাহ্‌র সম্পর্ক ঠিক করতে হবে, তাহলে আল্লাহ্‌ই অটোমেটিকালি সবার সাথে সেই মানুষের সম্পর্ক ঠিক করে দেবেন।)

সব শেষে যারা বিবাহিত তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলতে চাই, একটু সময় করে নিজের সংগীর দিকে তাকান, তার দোষ গুলোতে নজর না দিয়ে করে, কষ্ট গুলো বোঝার চেষ্টা করুন, তার প্রতি দয়ালু হোন।

অফিসের পর যখন দেখা হয়, সারাদিনের জমিয়ে রাখা সমস্যা নিয়ে কথা না বলে, মিষ্টি হাসি দিয়ে অভ্যর্থনা করুন, তার সামনে নিজেকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করুন (শুধু স্ত্রীরাই নয় স্বামীদেরও উচিত স্ত্রীর জন্য সুন্দর ভাবে থাকা!), প্রতিদিন দশ মিনিট করে হলেও ‘কোয়ালিটি’ সময় কাটান।

সর্বোপরি আল্লাহ্‌র কাছে শুকরিয়া আদায় করুন, কারন তিনি আপনাকে একা রাখেন নি…….. বরং একজন সাথী দিয়েছেন….

সুকুন
হাসনীন চৌধুরী
(৮ ডিসেম্বর ২০১৪)