– মা আর কতক্ষণ লাগবে? আমার ভয় লাগছে!
– এই তো বাবা প্রায় চলে আসছি। এখনি বাসা দেখা যাবে আমাদের।
– ঝড় থামেনা কেন মা?
– থামবে বাবা।
– আমাদের রিকশাটা কি উলটে যাবে?
– না বাবা, কেন উলটে যাবে? রিকশাওয়ালা মামা খুব আস্তে চালাচ্ছে।
– আর বেরু যাবোনা মা।
– আহারে সোনা, আগে বুঝলে কি আর আজকে বের হতাম। বাসায় যেয়েই তোমার ড্রেস পালটে দেব, আর আজকে একটু চাও খেতে পাবে তুমি। আচ্ছা?
– হুম। আমার ভয় লাগছে মা।
– ভয়ের কিচ্ছু নেই সোনা।
কথোপকথন শুনে না চাইতেই একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসলো কাশেমের বুক চিড়ে। মাত্র তো সন্ধ্যা। আজকে সারাটা রাতই ভিজতে হবে। ঘর বলতে যে প্লাস্টিকের ছাপড়া সেটাও ভিজে একসা। বাচ্চাগুলার কি অবস্থা কে জানে! ওদেরও কি এই বাচ্চাটার মতই ভয় লাগছে? বেশি ভাবলে কষ্ট। জোর করেই মাথা থেকে চিন্তাটা সরায় সে। এখনো অনেক পথ বাকি। অনেকটা পথ। পা চালায় সে, জোরেসোরে।
“কথোপকথন”
নূরুন আলা নূর
(৩১ অক্টোবর ২০১৭)