প্রশিক্ষণ

১.
পর্দার আড়াল থেকে সাবধানে উঁকি দিলাম আমি। গতকাল সন্ধ্যার দিকে এ বাড়িতে এসেছি। সারা রাত পর্দার পেছনে লুকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম জানি না। মাঝরাতে হঠাৎ জেগে উঠলাম। ভোরের আলো ফুটতে এখনো দেরি আছে মনে হচ্ছে। ধীরে ধীরে বের হয়ে চারপাশটা পর্যবেক্ষণ করে নিলাম। হালকা একটা আলো জ্বলছে ঘরটাতে। ঘরের ঠিক মাঝখানে বড় একটা বিছানা।

আস্তে করে খাটের নিচে চলে এলাম আমি। সেখানে দেখা হলো ইজিপ্টি খালার সাথে। “আরে আদিসা, তুমি এখানে!” দেখা মাত্রই চিৎকার করে উঠলেন তিনি।

“আমার মাকে দেখেছেন খালা?”

“ওই দরজার পেছনের হুকে কাপড় ঝুলছে দেখ, তোর মাকে ওই ডানদিকের কালো জামাটার পেছনে পাবি। আমি এই খাটের নিচে আস্তানা গেড়েছি। আমার সাথে অন্যরাও আছে। এই বাড়িতে ডিম পাড়ার জায়গার অভাব নেই জানিস?”

“তাই? মা বলেছিলেন আমার ডিম পাড়ার বয়স হলে যেন এখানে চলে আসি। গতকাল সন্ধ্যায় জানালার ফাঁক গলে চলে এলাম তাই।”

“ভালো করেছিস। যা মার কাছে যা। সাবধানে থাকিস।”

উড়তে উড়তে দরজার দিকে চলে গেলাম। খালার কথামতো কালো জামার পেছনে মাকে পেয়ে গেলাম। আমাকে দেখে অত্যন্ত আনন্দিত হলেন তিনি।

“আদিসা! তোর অপেক্ষাতেই ছিলাম। শোন, আমাদের হাতে সময় খুব কম। আমারো বয়স হয়েছে, আগের মতো উড়তে পারি না। এই দুনিয়ায় আমাদের জানটা হাতে করে চলতে হয় রে। তোকে যা বলছি মনোযোগ দিয়ে শুনে রাখ।”

“বলো শুনছি।” সাদা-কালো দাগ কাটা লম্বা লম্বা পাগুলো মেলে বসে পড়লাম মায়ের সামনে।

“ডিম তৈরির জন্য আমাদের যে আয়রন আর প্রোটিনের দরকার হয়, আমরা তা সংগ্রহ করি মানুষের রক্ত থেকে। এই রক্ত আমরা শুষে নিই আমাদের মুখের সামনের এই অংশটা দিয়ে, বুঝলি?”

“হুম।” মাথা নাড়লাম আমি।

“তোকে এখন থেকে এখানে থাকতে হবে। মানুষের রক্ত নিয়ে ডিম তৈরি করতে হবে। এরপর সুবিধামতো জায়গা বেছে নিয়ে ডিম পাড়তে হবে।”

মানুষের রক্ত! ওসব দু’পেয়ে দৈত্যগুলোকে যে ভীষণ ভয় লাগে আমার!! মার কথা শুনে ঢোক গিললাম আমি।

“তোকে এখন থেকেই প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করতে হবে। মিশা তোকে এ ব্যাপারে সাহায্য করবে। মিশাকে তুই এখন পাশের ঘরের টেবিলের নিচে পাবি। যা, সময় নষ্ট করিস নে আর। ভোরের আলো ফুটতে আর বেশি দেরি নেই।”

মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে দ্রুত উড়ে চললাম আমি পাশের ঘরে।

২.
টেবিলের নিচে মিশা খালাকে পাওয়া গেল।

“মিশা খালা! মা আমাকে আপনার কাছে পাঠিয়েছেন। আমি এখানে নতুন এসেছি। আপনার সাহায্য দরকার।”

“আহ! ব্রেলান্দির কন্যা আদিসা!! এসো এসো….তিন দিন আগে তোমাকে সেই ছোট্ট দেখেছিলাম। গোলাপের টবের জমে থাকা পানিতে লার্ভা অবস্থায় ছিলে…।”

আমি মিশা খালার সামনে চোখমুখ কুচকে সোজা হয়ে বসলাম। আজ থেকে আমাকে মানুষের রক্ত খাওয়ার টেকনিক শেখাবেন তিনি৷

“শোন বাছা, প্রথমেই তোমাকে কিছু নিয়ম-কানুন শিখে নিতে হবে। সেই সাথে চলবে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ। তাহলে চলো শুরু করা যাক!” সাঁই করে উড়ে এসে আমার পাশে বসলেন তিনি।

“রুল নাম্বার এক: ডিম তৈরি হওয়ার জন্য তোমার শরীরে এক দিন পর পর রক্তের দরকার হবে। এজন্য প্রথমেই তোমাকে এই বাড়িতে একটা থাকার জায়গা বেছে নিতে হবে। অন্ধকার, কম তাপমাত্রার, বাতাস চলাচল করে না – এমন একটা জায়গা।”

এদিক ওদিক খুঁজতে খুঁজতে বুকশেল্ফের ভেতরে বইয়ের পেছনের অন্ধকার একটা কোন থাকার জন্য পছন্দ হলো আমার। মিশা খালা বললেন, “চমৎকার! সূর্য উঠে গেছে, এবার আমাদের রক্ত-শোষন অভিযান শুরু করা যাক।” বলেই উড়তে শুরু করলেন তিনি।

খালাকে অনুসরণ করে আবার আগের সেই ঘরটাতে পৌছালাম।

“ঐ দ্যাখো, বিছানার উপরের সুতোর জালের খাঁচাটা দেখতে পাচ্ছ কী? মানুষগুলো আমাদের ভয়ে এর ভেতরে ঘুমোয়। এসো, ভেতরে ঢোকার মতো ফুটো টুটো পাই কি না দেখা যাক।”

নাহ, অনেক খুঁজেও কোনো ফুটো পাওয়া গেল না। আমাদের থেকে বাঁচার জন্য এরা বেশ সতর্ক, বোঝাই যাচ্ছে। সুতার জালের ভেতরে মানুষের একটা বাচ্চা আরাম করে ঘুমাচ্ছে। কিন্তু এর মা-বাবা কাউকেই যে দেখছি না। ঐ যে বাবাকে দেখা যাচ্ছে! বসে বসে হাতের জিনিসটার দিকে গভীর মনোযোগে তাকিয়ে আছে। হালকা একটা আলো বের হচ্ছে জিনিসটা থেকে।

“যাও বাছা, দেখা যাক এই মানুষটার রক্ত খেতে পার কি না।” বলেই একটু দূরে সরে গেলেন খালা।

সন্তর্পণে এগিয়ে গেলাম আমি। পায়ের পাতার উপর বসতেই আরেক হাত দিয়ে সজোরে আঘাত করল মানুষটা, উহ অল্পের জন্যে বেঁচে গেলাম! কাঁপতে কাঁপতে কোনো রকমে একটা ফুলদানির উপর বসলাম।

“রুল নাম্বার দুই: মানুষের রক্ত শুষে নেওয়ার জন্য তাদের পেছন দিক থেকে আক্রমণ করবে। হাতের কনুই অথবা পায়ের গোড়ালিতে বসবে। আমাকে দেখো।” বলেই উড়ে চললেন তিনি সেই মানুষটার দিকে। কিছু বোঝার আগেই কনুইয়ের উপর বসে দ্রুত রক্ত খেয়ে ফিরে এলেন।

এরপর সারাটা দিন মিশা খালা একের পর এক জ্ঞান দিতে লাগলেন আমাকে। আমি সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম আর তার পেছন পেছন এ ঘর-ও ঘর উড়ে বেড়াচ্ছিলাম। রুলগুলো মুখস্ত করে নিচ্ছিলাম।

“রুল নাম্বার তিন: পেট না ভরা পর্যন্ত রক্ত খেয়ে যাবে। এতে দিনে একাধিক মানুষের রক্ত খাওয়ার দরকার হতে পারে। আমাদের আয়ুষ্কাল হলো সর্বোচ্চ ছয় সপ্তাহ। পুরুষরা সাধারণত দশ দিনের বেশি বাঁচে না। তোর বাবা আলবোপিকটাস বেঁচে ছিল মাত্র পাঁচ দিন। বেচারা ফগিং মেশিনের ধোঁয়াতে মৃত্যুবরণ করেছিল।” ডোরাকাটা সামনের একটা পা তুলে চোখ মুছলেন তিনি।

৩.
এভাবেই সকাল বেলাটা কেটে গেল। আমার জীবনের সুদীর্ঘ একটা সময়। কয়েকবার চেষ্টা করেও রক্ত খেতে ব্যর্থ হলাম। অথচ মিশা খালা বেশ দ্রুততার সাথেই রক্ত খেয়ে চলে আসছেন। বুঝলাম। রুলস শুধু মুখস্ত করলেই চলবে না, বাস্তব জীবনে বার বার চর্চার মাধ্যমে অভ্যস্ত হতে হবে।

দুপুর বেলাটা আমরা পর্দার পেছনে বিশ্রাম নিয়ে কাটালাম। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো। আমরা পর্দার আড়াল থেকে বের হয়ে এলাম বাইরে।

দেখলাম, মানুষের বাচ্চাটা খেলছে বসে বসে। মা তাকে খাইয়ে দিচ্ছিল। নাহ, এবার খালাকে রক্ত খেয়ে দেখিয়ে দেব আমি। ছোট বাচ্চা নিশ্চই চড় মারতে পারবে না! সুতরাং, ভয়ের কিছু নেই।

বাচ্চাটার গায়ে বসতে যাব, এমন সময় তার মা হাত নেড়ে আমাকে তাড়িয়ে দিলেন। মা অন্য দিকে তাকানোতে আবার চেষ্টা করলাম, এবার তো আরেকটুর জন্য চড় খেয়ে ভর্তা হয়ে যাচ্ছিলাম। হাপাতে হাপাতে গিয়ে বসলাম একটা চেয়ারের হাতলের উপর।

“রুল নাম্বার চার: মায়ের সামনে কখনো বাচ্চার রক্ত খেতে যেও না। নিশ্চিত প্রাণ হারাতে হবে।” গম্ভীরমুখে আমার পাশে এসে বসলেন মিশা খালা।

আমি তারপরও আবার বাচ্চাটার দিকে উড়ে গেলাম। রক্ত আমাকে খেতেই হবে আজ। পেছন দিক থেকে কনুইর উপর বসতে গেলাম আর তৎক্ষনাৎ নাকে বিকট এক গন্ধ এসে লাগল। এক লাফে দূরে সরে এলাম।

“এর নাম ওডোমস।” বললেন খালা। “বাচ্চাটার গায়ে নিয়মিত মেখে দেয় এই জিনিস। যেন আমরা এর রক্ত না খেতে পারি।”

সন্ধ্যার পর মানুষ বাচ্চাটার বাবা বাসায় ফিরে এসেছে। হাতে লম্বা একটা কী যেন ধরে রেখেছে। কিছুক্ষণ পরেই বোঝা গেল ওটা কী জিনিস। মিশা খালা আমাকে একা রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।

দরজা জানালা লাগিয়ে সারা ঘরে কী যেন ছিটানো হলো সেই লম্বা জিনিসটা থেকে। আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল প্রায়। জ্ঞান হারানোর আগে ইজিপ্টি খালাকে দেখতে পেলাম।

৪.
আমি এখন আমার মায়ের আস্তানায়। দরজার পেছনের হুকে ঝুলন্ত কাপড়ে। ইজিপ্টি খালা আর মিশা খালা আমাকে ধরাধরি করে এখানে নিয়ে এসেছিলেন।

“রুল নাম্বার পাঁচ: লম্বা সেই জিনিসটার নাম এরোসল স্প্রে। কারো হাতে ওটা দেখতে পেলেই যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ স্থানে সরে যেতে হবে।”

সারা রাত আমরা চারজন ওখানেই কাটালাম। পরদিন সকালে মা, মিশা খালা আর ইজিপ্টি খালা বের হয়ে গেলেন রক্তের সন্ধানে। আমার তখনো শরীর দুর্বল। ওড়ার শক্তি পাচ্ছিলাম না।

দুপুরের একটু আগে ইজিপ্টি খালা ফিরে এলেন।

“মানুষের বাচ্চার মায়েরা খুব বোকা হয়, জানিস? বাচ্চাগুলোকে সবরকম নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেও নিজের দিকে কোনো খেয়াল নেই তাদের৷ কিছুদিন আগে মা-টার শরীর থেকে পেট ভরে রক্ত খেয়েছিলাম। বাচ্চাটাকে মশারির ভেতর ঘুম পাড়িয়ে নিজে বাইরে বসে বই পড়ছিল। আজকে মানুষের এক মেহমান এসেছিল এ বাড়িতে। তার পায়ের গোড়ালি থেকে রক্ত খেলাম, টেরও পেল না যেন। আজ সারাদিন আর কিছু না খেলেও চলবে।” আরাম করে গা এলিয়ে কাপড়ের ভাজে শুয়ে পড়লেন ইজিপ্টি খালা।

“তোমার ভয় লাগে না খালা?” ভীত চোখে জানতে চাইলাম আমি।

“নাহ, ভয়ের কী? ডিমের জন্য একটু তো কষ্ট করতেই হবে। এটাই তো আমাদের জীবন। ভয় পেলে চলে?”

“না…মানে, ডিম কোথায় পেড়েছিলে তুমি?”

“বারান্দার এক কোনে খালি একটা কৌটা পড়ে ছিল। ওটার ধারে মোট পয়ষট্টিটা ডিম পেড়েছিলাম। তিন দিন পর বৃষ্টির পানি আসাতে লার্ভা ফুটেছে গতকাল। চার-পাঁচ দিন পর বাচ্চা বেরোবে। তোরও তো ডিম পারার সময় হয়ে এল রে! বেশি বেশি রক্ত খা। নয়তো ডিম ভালো হবে না। যা যা রক্ত খা গিয়ে। আমাকে বিরক্ত করিস না, একটু ঘুমিয়ে নিই।”

বিকেলের দিকে আমি সাহস করে বের হলাম একা। মিশা খালা আমার অপেক্ষাতেই ছিলেন। আমাকে দেখামাত্রই উড়ে কাছে চলে এলেন।

“শরীর ভালো লাগছে এখন? উড়তে কষ্ট হচ্ছে না তো আদিসা?” জানতে চাইলেন খালা।

“ভালো আছি খালা।” হাসিমুখে উত্তর দিলাম আমি।

“দ্যাখো বাছা কী কাণ্ডটা হয়েছে! তোর ইজিপ্টি খালা মানুষ বাচ্চার মাকে কামড়েছিল ক’দিন আগে। ওর শরীরে ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস বহন করছিল। বেচারি মা-টা আজ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। একটু পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।”

“হাসপাতাল কী খালা?”

“হাসপাতাল হলো অসম্ভব ভালো একটা জায়গা। সেখানে আমাদের কোনো কিছুর অভাব নেই; না খাবারের, না ডিম পাড়ার পরিবেশের। সেখানে ছাদের উপর অনায়াসে একটা জীবন পার করে দেওয়া যায়।”

“আচ্ছা তাই বুঝি?” চোখ বড় বড় করে জানতে চাইলাম আমি।

“হ্যা বাছা, আমি এই মানুষের সাথে আজই চললাম হাসপাতালে। চাইলে তুমিও আসতে পারো।”

“আমি? না থাক, আমি বরং এখানেই থাকি। মা আর ইজিপ্টি খালা না থাকলে ভয় লাগবে আমার।”

“ঠিক আছে তাহলে, যাওয়ার আগে তোমাকে শেষ রুলটা শিখিয়ে দিয়ে যাই।” বীণার মতো পিঠটা বাঁকিয়ে ঘুরে এসে আমার পাশে বসলেন তিনি।

“সাধারণত, আমরা ডিম পাড়ি পরিষ্কার আর স্থির পানিতে। সবসময় তো আর অনুকূল পরিবেশ পাওয়া যায় না। কাজেই,
রুল নাম্বার ছয়: অনুকূল পরিবেশ না পেলে যে কোনো পরিত্যক্ত অথবা সাজিয়ে রাখা পরিষ্কার পাত্রের কানায় ডিম পারবে। যেন পানিপূর্ণ হওয়ার সাথে সাথেই লার্ভা ফুটতে পারে। পানি না পেলেও চিন্তার কিছু নেই। শুকনো জায়গায় ডিমগুলো দীর্ঘদিন ভালো থাকে। পাঁচ মিলিলিটার বা এক চামচ পরিমান পানি হলেও ডিম পেড়ে লার্ভা ফোটাতে পারবে।

চললাম। শুভকামনা রইলো।” ভন ভন গুঞ্জন তুলে উড়ে গেল মিশা খালা।

৫.
মিশা খালা চলে গেছেন তিন দিন হলো। পরদিন বিকেলেই আমার মা মারা গেলেন। এই ক’বেলায় আমারও বয়স বেড়েছে। মানুষের বাচ্চাটার মা হাসপাতালে থাকাতে আমার জন্য ভালোই হলো। ইচ্ছেমতো বাচ্চার রক্ত খেতে পারি। তাকে দেখে রাখার জন্য নতুন এক মহিলা মানুষ এসেছে এ বাড়িতে। মা মানুষের মতো কী আর দেখে রাখতে পারে? তবে সে যেমনই হোক, তার রক্তটা দারুন স্বাদের। মিশা খালার শেখানো রুলগুলো অনুসরণ করে ভালোই দিনগুলো কেটে যাচ্ছে আমার।

বেসিনের উপর সাজিয়ে রাখা ফুলদানীটার পানিতে একাশিটা ডিম আমার। শীঘ্রই লার্ভা ফুটবে সেখানে, ইজিপ্টি খালার বাচ্চাগুলোর মতো একসময় আমারো অনেকগুলো বাচ্চা ছড়িয়ে পড়বে চারপাশের বাড়িগুলোতে; স্কুল-কলেজে, অফিসে আর রাস্তা-ঘাটে। শুনেছি ইজিপ্টি খালার শরীরের ভাইরাস তার অধিকাংশ সন্তান বহন করছে।

বোকা দু’পেয়ে জীবগুলো তখনো জালের নিচে ঘুমাবে। অথচ যতদিন ডিম পাড়ার অনুকূল পরিবেশ থাকবে, ততদিন আমাদের কাছ থেকে কেউই বাঁচতে পারবে না। হা হা হা!!

……………….
প্রশিক্ষণ
সিহিন্তা শরীফা

অগাস্ট ২২, ২০১৯ইং