ঈমানের স্বাদ

” ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি র-জিউন।”
-নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয়ই তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।

শুধু মৃত্যু হলেই পড়তে হয়? না।
এই ফিরে যাওয়া দুনিয়ার সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
যখন কোন দুশ্চিন্তা চেপে বসে, বা কিছু হারিয়ে/ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়, কোন বিপদ এসে যায়।

দুশ্চিন্তাগুলো আমরা এদিক ওদিক কারো কাছে শেয়ার করে হালকা হওয়ার চেষ্টা করি। ক্ষেত্রবিশেষে পরিস্থিতিগুলো এমনও হয় , যার সমাধান করার যোগ্যতা আমার নেই কিন্তু টেনশন মুক্তির উপায়ও জানা নেই। হতে পারে আর্থিক, পারিপার্শ্বিক বা অসুস্থতা সম্পর্কিত।

কারো কাছে শেয়ার করে সাময়িক হালকা হওয়া গেলেও সমাধান তো হয় না। তা কেবল একজনেরই হাতে রয়ে যায়৷ আল্লাহ। এদিক ওদিক করে অবশেষে তাঁর কাছেই ফিরে যাওয়া লাগে।

৩টা আয়াত মনে রাখলেই আমাদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যেতে পারত-

“এবং আমি তোমাদেরকে ভয় ও ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি (এসবের) কোনকিছুর দ্বারা নিশ্চয়ই পরীক্ষা করব। সুসংবাদ দিন সবরকারীদেরকে।

যারা তাদের উপর কোন বিপদ এলে বলে, ‘নিশ্চয় আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চিতভাবে তারই দিকে ফিরে যাব।’

তাদের প্রতি রয়েছে তাদের রব্বের পক্ষ হতে করুনা এবং অনুগ্রহ। আর এরাই হেদায়ত প্রাপ্ত। ”
(২ঃ১৫৫-১৫৭)

শেষে যখন তাঁর কাছেই ফেরা লাগে,তবে শুরুতেই তাঁর কাছে নয় কেন?

দুনিয়ায় আমার পেরেশানি, আমাদের ভবিষ্যৎ, মাল সম্পদ, রিজিক সব দায়িত্ব আল্লাহ নিজেই নিয়ে রেখেছেন। আমাদের দায়িত্বে ছিল শুধু ইবাদত, সবর আর তাওয়াক্কুল।

নিজের আসল কাজে পিছিয়ে থেকে যা আমার কাজ না তা নিয়ে চিন্তায় কাতরানো……. এ কেমন মুমিনের সিফত!

কত বদলাতে হবে আরো! অনেক বেশি!!
ঈমান আনলেই মুমিন হওয়া যায়, কিন্তু মুমিনের সিফতওয়ালা মুমিন হতে সারাজীবন লেগে যায়।

একটু একটু করে অন্তরকে ঘষামাজা করে করে যেদিন দুনিয়া আর আমাকে চিন্তায় ফেলবে না, চিন্তাচেতনা জুড়ে আখিরাত দৃশ্যমান মনে হবে…..

সেদিন হয়ত ঈমানের স্বাদ পাবো। সেদিন আসলেই মু’মিন হব। (বি ইযনিল্লাহ)


ঈমানের স্বাদ
– খাদিযা তাহিরা

(০৫/০৪/২০১৯)