মহিলাদের হজ্জ ও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

সমস্ত প্রশংসা একমাত্র মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য। মুসলিম নারীর জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হল, মহান আল্লাহ এর নিকট গৃহীত বিশুদ্ধ হজ (বুখারী ১৫২০)।

কোনো নারী হয়তো তার সারা জীবনে হজ/উমরাহ করার সৌভাগ্য মাত্র একবারই অর্জন করে থাকেন। শারীরিক, মানসিক, আর্থিক, ও জ্ঞানগত বিষয়গুলোর সুষ্ঠ সমষ্টি মিলেই মহান আল্লাহ এর কাছে একটি ত্রুটিবিহীন কবুলযোগ্য হজ/উমরাহ সম্পন্ন করার প্রত্যাশা করা যায়।

একজন মুসলিমাহ এর খুব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে ইসলামের রুকন হজ সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানা। অন্যথায় তার খামখেয়ালি বা জ্ঞানগত দূর্বলতার কারণে সকল অর্থ ও পরিশ্রমের ফলাফল ত্রুটিযুক্ত থেকে যেতে পারে।

হজ্জের পূর্বে একজন মুসলিমাহের যেমন পর্দার বিধান, মাহরাম ও অন্যান্য ইবাদতের নিয়মগুলো খুব ভালোভাবে জানা দরকার, তেমন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তার নিজস্ব শারীরিক বিষয় মাসিক ঋতু ও হজ্জ/উমরাহের সময় বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কি করণীয় বা বর্জনীয় সে সম্পর্কে খুব ভালো করে জানা থাকা।

আমাদের চারপাশে পরিচিত বা অপরিচিত অনেক বোনদেরই দেখা যায় নিজের শারীরিক একান্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টির উপেক্ষা বা অজ্ঞতার ফলে ইবাদতে ঘাটতি থেকে যায় দিনের পর দিন।

এমনকি কিছু পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে হজ্জ/উমরাহ থেকে ফিরে এসে তাদের প্রশান্তির পরিবর্তে এক সংশয় নিয়ে দিন কাটাতে হয় শুধুমাত্র ইসলামের এই রুকনের প্রতি খুব স্বচ্ছ ধারণা না থাকার ফলে।

লক্ষণীয় বিষয় হলো, একজন মুসলিমাহের হায়েজ/নিফাস ও ইবাদত পরস্পর সম্পৃক্ত থাকে ইসলামের তিনটি মৌলিক রুকন – সালাত, সিয়াম ও হজ্জের সাথে। একজন ঈমানদার নারীর জন্য অবশ্যই তার মাসিকের সময়, স্থায়িত্বকাল, বর্ণ ও তার পরিবর্তন ইত্যাদি ভালোভাবে হিসাব রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিষয়টি ব্যাপক হওয়ায় শুধুমাত্র হজ্জ ও উমরাহের সময় বোনদের হায়েজ/নিফাস এর সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংক্ষেপে তুলে ধরতে চেষ্টা করছি। মূলত উম্মুল মুমিনীন আয়িশা (রাঃ)ও সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাঃ) এবং আবু বকর (রাঃ)এর স্ত্রী আসমা বিনতু উমাইস (রাঃ) এর তিনটি সহীহ হাদিসের ঘটনার ভিত্তিতেই হায়েজ/নিফাস বিষয়ক পরিস্থিতিগুলোর সমাধান পাওয়া যায়।

★প্রশ্ন আসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার উদ্দেশ্যে হজ্জ/উমরাহের সময় ওষুধ খেয়ে কি হায়েজ বিলম্বিত/বন্ধ রাখা যাবে?

উম্মতের বিজ্ঞ আলিমদের মতে, ওষুধ খেয়ে নির্দিষ্ট সময় হায়েজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই যদি না শারীরিক কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থেকে থাকে। এর দলিল পাওয়া যায় ইবনু উমার (রাঃ) থেকেও।

নিয়মিত বা অনিয়মিত হোক নিজে থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং পর্যাপ্ত সময় আগে থেকে পিল খেয়ে শারীরিক প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে নিজেকে ভালোভাবে জানা থাকলে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয়না।

ওষুধ খেলেই অথবা ক্যালেন্ডারে হিসাব দেখে হজ্জ/উমরাহের সময়ে যে স্পটিং বা হায়েজ হবে না এমন নিশ্চয়তা থাকেনা। বিভিন্ন পারিপার্শিক পরিবেশের কারণে হঠাৎ করে নারী এমন পরিস্থিতিতে পরে যেতে পারেন যখন বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে জানা থাকলে নিজে উপকৃত হয়ে দলের অপরকেও সমস্যায় ফেলতে হয়না।

আবার অপরের এমন পরিস্থিতি দেখা দিলে তাকেও সাহায্য করা সম্ভব হয় এবং মহান আল্লাহ এর কাছে হজ্জ/উমরাহ কবুল করার জন্য দু’আ করা যায়। মনে রাখতে হবে, এটি এমন জিনিস যা আদম কন্যাদের উপর মহান আল্লাহ অনিবার্য করেছেন (বুখারী ২৯৪)।


★পরিস্থিতি: ইহরাম বাঁধার পূর্বে অথবা মীকাত অতিক্রম করার পূর্বে হায়েজ/নিফাস শুরু হলে

করণীয়: হায়েজ/নিফাস চলাকালীন অবস্থাতেও ইহরাম বাঁধতে ও নিয়ত করতে হবে। এক্ষেত্রে গোসল করে, উত্তমভাবে কাপড় বেঁধে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ। এ অবস্থায় কোনো সালাত নেই। বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ব্যতীত অন্যান্য ইবাদত অব্যাহত রাখতে হবে। যেমন – তালবিয়াহ ও যাবতীয় দো’আ করতে কোনো বাধা নেই। হায়েজ ও নিফাস এর ক্ষেত্রে একই শর্ত প্রযোজ্য।

সহীহ দলিল: আবু বকর (রাঃ) এর স্ত্রী আসমা বিনতু উমাইস (রাঃ) এর ঘটনা, উম্মুল মুমিনীন আয়িশা (রাঃ) এর ঘটনা, আবু দাউদ ১৭৪৪


★পরিস্থিতি: ইহরাম বাঁধার পর অথবা মীকাত অতিক্রম করার পর উমরাহ করার পূর্বে হায়েজ/নিফাস শুরু হলে

করণীয়: সম্পূর্ণ পবিত্র হয়ে গোসল করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ব্যতীত অন্যান্য ইবাদত অব্যাহত রাখতে হবে। এ অবস্থায় কোনো সালাত নেই। তালবিয়াহ ও যাবতীয় দো’আ করতে কোনো বাধা নেই।

সহীহ দলিল: উম্মুল মুমিনীন আয়িশা (রাঃ) এর ঘটনা


★পরিস্থিতি: ক) হজ এর পূর্ব থেকে, খ) আরাফার দিন (৯ যিলহজ্ব) থেকে, গ) উমরাহ সম্পন্ন না করে থাকলে, ঘ) উমরাহ সম্পন্ন করে হজের পূর্ব থেকে হায়েজ/নিফাস চলতে থাকলে

করণীয়: যদি কোনো মহিলা তামাত্তু হজ্জ আদায়কারী হন আর হায়েজ চলতে থাকে, তাহলে তিনি উমরাহর ইহরাম নিয়েই আরাফার দিন (৯ তারিখ) পর্যন্ত কাটাবেন। ৯ তারিখ সম্পূর্ণ পবিত্র হয়ে উমরাহ আদায় করে আরাফার মাঠে হাযির হতে হবে। উমরাহ আদায় করার সময় না থাকলে বা পবিত্র না হয়ে থাকলে তা স্থগিত রেখে নিয়ত করতে হবে: “হে আল্লাহ! আমি আমার উমরাহের সাথেই হজ্জ করার জন্য ইহরাম করছি।” এভাবে তিনি কিরান হজ্জ আদায়কারী রূপে গণ্য হবেন।

যাবতীয় অন্যান্য সকল হজ্জ্রর কাজ (মিনা, আরাফা, মুজদালিফা) অব্যাহত রাখতে হবে। সম্পূর্ণ পবিত্র হওয়ার পর তাওয়াফে ইফাদাহ ও সাঈ করলেই আলাদা করে উমরাহের তাওয়াফ ও সাঈ করার প্রয়োজন পড়বে না। ক্ষেত্র বিশেষে তার ওপর হাদী জবাই করতে হবে।

সহীহ দলিল: উম্মুল মুমিনীন আয়িশা (রাঃ) এর ঘটনা, সহিহ মুসলিম – হজ্জ অধ্যায়


পরিস্থিতি: ১০, ১১ বা ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্তের পূর্বক্ষণ পর্যন্ত হায়েজ/নিফাস হতে সম্পূর্ণ পবিত্র না হলে

করণীয়: অপরাগতার দরুন বায়তুল্লাহ তাওয়াফের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে যাবতীয় অন্যান্য সকল হজ্জের কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। এরমাঝে যে কোনো দিন সম্পূর্ণ পবিত্র হওয়ার সাথে সাথে গোসল করে বিলম্ব না করে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ও সাঈ সম্পন্ন করতে হবে। তাওয়াফে ইফাদাহ যিলহজ্ব মাসের শেষ দিন পর্যন্ত আদায় করা যাবে। কেননা পুরো যিলহজ্ব মাসই হজ্জের মাস। তাওয়াফে ইফাদাহ ফরয ও হজ্জের একটি রুকন। এটি না করলে হজ্জ সম্পন্ন হবে না।

এইখানে বিচক্ষণতার কাজ হলো পবিত্র থাকলে ১০ তারিখ হতেই যত আগে সম্ভব দেরি না করে তাওয়াফে ইফাদাহ সম্পন্ন করে ফেলা। কেননা তাওয়াফ ব্যতীত অন্যান্য যাবতীয় কাজ হায়েজ/নিফাসকালীন করতে কোনো বাধা নেই।

উমরাহর সময় তাওয়াফের পরে সাঈ করতে হয়। তবে হজ্জের সময় তা আগে পরে করা যায়।

সহীহ দলিল: আবু দাউদ হাদিস নং: ২০১৫, উম্মুল মুমিনীন আয়িশা (রাঃ) ও সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাঃ) এর ঘটনা

মুহাম্মাদ ইব্ন সালেহ্ আল-উসাইমীন


★পরিস্থিতি: পবিত্র অবস্থায় হজ্জের তাওয়াফ বা তাওয়াফে ইফাদাহ সম্পন্ন করার পর হায়েজ/নিফাস শুরু হলে

করণীয়: এ অবস্থায় কোনো সালাত নেই। সাঈ সম্পন্ন করে নিতে হবে কারণ বায়তুল্লাহ তাওয়াফ পবিত্র অবস্থায় ওযু সহকারে করতে হয় তবে সাঈর জন্য পবিত্র থাকা শর্ত নয়। সাঈ শেষে চুল কেটে হালাল হতে হবে এবং হজ্জ এর যাবতীয় কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।

সহীহ দলিল: মুহাম্মাদ ইব্ন সালেহ্ আল-উসাইমীন – “মহিলাদের স্রাব ও প্রসূতি অবস্থার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৬০টি প্রশ্ন”


★পরিস্থিতি: হজ্জ সম্পূর্ণ করার পর বিদায়ী তাওয়াফের পূর্বে হায়েজ/নিফাস শুরু হলে

করণীয়: এক্ষেত্রে মহিলাদেরকে বিদায়ী তাওয়াফ বা ‘তাওয়াফে বিদা’ না করে চলে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। তবে হজ্জের ক্ষেত্রে ‘তাওয়াফে ইফাদাহ’ অবশ্যই করতে হবে, কেননা এটি না করে দেশে ফিরে গেলে হজ্জের ফাযীলাত থেকে বঞ্চিত থাকতে হবে।

সহীহ দলিল: উম্মুল মুমিনীন সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাঃ) এর ঘটনা


★পরিস্থিতি: হায়েজ/নিফাস দরুন হজ্জ বা উমরাহর ফরয তাওয়াফ সম্পূর্ণ করতে না পারলে, পবিত্র হওয়া পর্যন্ত মক্কায় অপেক্ষা করতে না পারলে, দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হলে, দূর দেশ হওয়ায় পুনরায় ফিরে আসা কষ্টসাধ্য বা সম্ভব না হলে, মাহরাম সাথে না থাকতে পারলে

করণীয়: গোসল করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে ভালোভাবে কাপড়/বন্ধনী ব্যবহার করে জরূরী অবস্থার দরুন তওয়াফ করে নিতে হবে। অনুরূপভাবে বাকি কাজগুলো পূর্ণ করে অতঃপর ঐ একই সফরে চুল কেটে হজ্জ/উমরাহর কাজ শেষ করতে হবে। কেননা এই অবস্থায় তার ফরয তওয়াফ করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে।

সহীহ দলিল: ইবনে তাইমিয়াহ (রহঃ), মুহাম্মাদ ইব্ন সালেহ্ আল-উসাইমীন

সূরা আল-বাকারাহ ২:১৮৫: “..আল্লাহ্ তোমাদের জন্য সহজ চান এবং তোমাদের জন্য কষ্ট চান না।..”

সূরা আল-বাকারাহ ২:২৮৬: “..আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না..”

সূরা আল-হাজ্জ ২২:৭৮: “..তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোন কঠোরতা আরোপ করেননি।..”

পরিশেষে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণীয় বিষয়:

  • যে ব্যক্তি হজ্জ কিংবা উমরাহর ক্ষেত্রে ইহরাম না করে মীকাত অতিক্রম করে ফেলেছে তার উপর ওয়াজিব হল ফেরত যাওয়া এবং মীকাত থেকে হজ্জ ও উমরাহর ইহরাম বাঁধা। [শাইখ বিন বায (রহঃ)]
  • হজ্জের নিয়তের সময় অসুস্থতা বা অন্যান্য কারণে “যেখানে আমি বাধাগ্রস্ত হবো, সেখানেই ইহরাম মুক্ত হবো” শর্ত দিয়ে নিলে অনেক বিষয় সহজ হয়ে যায়। [ইবনে মাজাহ ২৯৩৬]
  • তান’ঈম থেকে ইহরাম করে এসে বারবার উমরাহ আদায় করার কোনো দলিল পাওয়া যায় না। এছাড়া এটি মক্কা এর হারাম এলাকার বাইরের অধিবাসীদের জন্য মীকাত নয়।
  • অপরের পক্ষ থেকে বদলি হজ্জ বা উমরাহ করা গেলেও বায়তুল্লাহ তাওয়াফ অপরের পক্ষ থেকে বা অপরের নামে করা যায়না।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শুধুমাত্র তাঁর জন্য কৃত সকল বিশুদ্ধ ইবাদত আমাদের পক্ষ থেকে কবুল করে নিন, আমিন।


পরিশিষ্টঃ

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমরা একমাত্র হাজ্জের উদ্দেশে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে রওনা হলাম। আমরা ‘সারিফ’ নামক স্থানে বা এর কাছাকাছি পৌঁছলে আমার মাসিক ঋতু শুরু হয়ে যায়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট এলেন এবং আমি তখন কাঁদছিলাম।

তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি হায়য হয়েছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আল্লাহ্ তা‘আলা এটা আদাম (আঃ)-এর কন্যাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন। অতএব তুমি হাজ্জের যাবতীয় অনুষ্ঠান পূর্ণ কর, শুধু (হায়যকাল শেষ হবার পর) গোসল না করা পর্যন্ত বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ করবে না। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সহধর্মিণীগণের পক্ষ থেকে গরু কুরবানী করেন। (সহিহ মুসলিম)


নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাঃ) ঋতুবর্তী হলেন এবং পরে এ কথাটি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অবগত করানো হয়। তখন তিনি বললেনঃ সে কি আমাদের যাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে? তারা বললেন, তিনি তো তাওয়াফে ইফাদাহ সমাধা করে নিয়েছেন। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাহলে তো আর বাধা নেই। (সহিহ বুখারী)


জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আসমা বিনতু উমাইস (রাঃ) মুহাম্মাদ বিন আবূ বাকরকে প্রসব করলেন। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট বিধান জিজ্ঞেস করার জন্য লোক পাঠালেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নির্দেশ দেন যে, তিনি যেন গোসল করে একটি কাপড় জড়িয়ে নেন ও ইহরাম বাঁধেন। (সহিহ মুসলিম)


হাদিস রেফারেন্সগুলো sunnah[dot]com হতে সংগৃহীত।

মহিলাদের হজ্জ ও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
নাবিলা হাসিন

জুলাই ৩০, ২০১৯ইং