রামাদানের সু-অভ্যাস

রমাদানের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু সুঅভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করা উচিৎ। এদিন গুলোতে সেভাবেই আমল ধরে ধরে আল্লাহর কাছে আমরা দোয়া করতে পারি। যেমন, ইয়া আল্লাহ এই রমাদানে যেমন আমাদের কিয়ামুল লাইল পড়ার তাওফিক দিয়েছেন তেমনি সারা বছর পড়ার তাওফিক দিন। দয়া করুন, আমাদেরকে আপনার সান্নিধ্য হতে বঞ্চিত করবেন না।

রমাদানে অধিকাংশেরই কোরআনের সাথে বেশ সময় কাটে। কিন্তু রোজা চলে গেলে আবার যা,তাই। এক্ষেত্রে আমরা দোয়া করতে পারি, ইয়া রাব্বি, আমাদেরকে কোরআনের সাথে বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক করার তাওফিক দিন। কোরআনের নির্দেশনা প্রত্যহিক জীবনে আমল করার তাওফিক দিন।

রমাদানে সবাই আমরা রাগ, হতাশা, অনিয়ম, অপচয়, আলস্য থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করি। সবাই নিজের রোজা ও অন্যের রোজা বিবেচনা করে রাগ সংবরণ করার চেষ্টা করে, পুরো মাসটাই অসীম রহমতের মাস, দোয়া কবুলের মাস, গুনাহ মাফ হওয়ার মাস তাই হতাশা কম হয়।

অথচ প্রতিদিন, প্রতি সপ্তাহ, সারা বছরই হাজারো দোয়া কবুলের উপলক্ষ আছে কিন্তু আমরা ভুলে বসে থাকি, উপেক্ষা করে যাই। অথচ রোজার মাস পাগলের মত রহমতের মুহুর্ত গুলোকে ধরার চেষ্টা করি।

তাই আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারে, ইয়া রহমানুর রাহীম, ইয়া আর রাজ্জাক, ইয়া যালযালালি ওয়াল ইকরাম আমাদের জন্য যা কঠিন তা সহজ করে দিন, সহজকে আরো সহজ করে দিন। আমাদের রিজিক প্রশস্ত করে দিন। আল্লাহর ইবাদত বেশি, বেশি করতে পারছি, কোরআনের সাথে ভাল বোঝাপড়া হচ্ছে, বন্ধুত্ব হচ্ছে, কিয়ামুল লাইলের মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের সুযোগ পাচ্ছি এ সবই রিজিকের অন্তর্ভুক্ত।

অনেক কিছুই রমাদানের এই বরকতময় মাসে শুরু করা যায় এবং আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করাতে, যেন রমাদান শেষ হয়ে গেলে অনিয়ম চলে না আসে। আমরা যেন রমাদানের পরেও আমল চালিয়ে যেতে পারি।

রমাদান ইবাদতমুখর বলেই সুন্দর। চিন্তা, কথা, কাজে আল্লাহ রব্বুল আলামীনের সান্নিধ্য, উপলব্ধি থাকে বলেই এত ভালবাসার মাস এই রমাদান। আমরা ইবাদতের এ সুযোগ বছর বছর চেয়ে নেই না। আল্লাহ বছরকে, সময়কে এরকম ভাবেই ডিজাইন করেছেন।

সহজ ভাবে বললে আমরা চাই নি, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর অসীম অনুগ্রহ থেকে এই মাসকে আমাদের জন্য এভাবে সাজিয়ে দিয়েছেন।
যেকোন ভাল কাজে আমরা শয়তানের বাধার সম্মুখীন হই। দু’দিন করি, পাঁচদিন ভুলে যাই।

যেটা আল্লাহ পছন্দ করেন ইবাদাতে একাগ্রতা, ধারাবাহিকতা বলতে গেলে সেটাতেই আমাদের ঘাটতি সবচেয়ে বেশি।

রহমতের এই মাসে শয়তান বন্দি। সে এই ত্রিশ দিনের প্রচেষ্টায় বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে না। ফলে আল্লাহর অনুগ্রহে আমাদের জীবনটা আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় সাজিয়ে নেওয়া যায়। তাহাজ্জুদ পড়া, আজানের সাথে সাথে সালাত আদায় করা, ইস্তেগফার, মাসনুন দোয়া পড়া, অযু অবস্থায় থাকা প্রভৃতি কাজের চর্চা হয়ে যায়।

এর পরে দরকার একটা দোয়া। ইয়া রাব্বি, আমাদেরকে শয়তানের ওয়াস ওয়াসা থেকে রক্ষা করুন।

আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাদেরকে তাঁর সান্নিধ্য নসিব করুন।


রামাদানের সু-অভ্যাস
কাজী দিশা

৩০/০৫/১৯