গৃহিণীর ইদ প্রস্তুতি

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু মহামারী রূপ ধারণ করায় এবারের ইদ যেন কেমন লাগছে। কেউ বা নিজে অসুস্থ, কারো স্বজনের মৃত্যু, কারো বা স্বজন হসপিটালে। অন্যান্য সবাই ও ডেঙ্গু নিয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছে।

দেশের বাইরে ভূ-স্বর্গ কাশ্মীরে শুরু হয়েছে ব্যাপক সহিংসতা। সব মিলিয়ে মানুষের মন মানসিকতা যেন কেমন ভেঙে ভেঙে নাজুক অবস্হায় আছে। এবারের ইদ তাই মনে হচ্ছে শুধুই আল্লাহর আদেশ পালনের ইদ। সত্যিই মনে আতংক নিয়ে এবারের ইদে যেন আনন্দ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

তবুও আল্লাহর আদেশে কুরবানী তো করতেই হবে। আর সে কুরবানীর জন্য যথারীতি কিছু প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব কুরবানীর ইদের আর বেশিদিন বাকি নেই। এ ইদে কিচেন, গৃহিণীও সাহায্যকারীদের উপর অনেক প্রেসার পড়ে। তাই ইদের কয়েক দিন আগেই পুরো কিচেন, ফ্রীজ, ওভেন এগুলি পরিষ্কার করে নিতে হয়। তাছাড়া ইদ পরবর্তী সময়গুলিতে কাজের অনেক প্রেসার থাকে, অনেক গেস্ট আসেন, অনেক রকম রান্না করতে হয়। তাই কিছু কিছু কাজ গুছিয়ে রাখলে তখন প্রেসার একটু কম পড়ে, কষ্ট কম হয়। ইদের বিভিন্ন রকম কাজে বোনদের একটু সহযোগিতার জন্য, রিমাইন্ডারের জন্য আজকের এ লেখা।

⬛ ইদ পূর্ব প্রস্তুতিঃ
———————

🔲 কীচেন পরিস্কারঃ
———————-
কিচেন ক্যাবিনেট বা শেল্ফ পরিষ্কার করে সেখানে ইনসেক্ট কীলার বা চক দিয়ে দাগ টেনে দিবেন। এরপর ক্যালেন্ডারের পেজ বা পেপার বিছিয়ে দিবেন। পোকামাকড় আসবে না। তাছাড়া কিচেন পরিষ্কারের সময় পানির সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে পরিষ্কার করুন। রান্নাঘরে দুর্গন্ধ কম হবে এবং পোকা-মাকড়ের হাত থেকেও রেহাই পাবেন। সিন্ক, বেসিন পরিস্কারের সময় ও বেকিং সোডা ইউজ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

🔲 ফ্রীজ, রেফ্রিজারেটর পরিস্কারঃ
– —————————————–
ইদের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য সময় খুব বেশি নেই। তাই এখন থেকেই ডিপ ফ্রীজ আস্তে আস্তে খালি করে ফেলুন। কারণ কুরবানি দেয়ার পর মাংস তো ফ্রীজে রাখতে হবে। তাই ইদের আগেই ডিপ ফ্রীজ পুরোটা না হলেও অনেকটা খালি করে ফেললে ভালো হয়। এছাড়াও ইদ আসার আগেই একবার ফ্রীজের সব জিনিস বের করে পুরো ফ্রীজটা পরিষ্কার করে ফেলুন।
রেফ্রিজারেটর, ফ্রীজ ভালোভাবে পরিষ্কার করে লেবুর ছোট টুকরো দিয়ে রাখুন। আইস বক্স, পানির বোতল ভালোভাবে ধুয়ে রাখবেন। এ গরমে কাজে লাগবে।

🔲 ওভেন পরিস্কারঃ
———————–
বাসায় ওভেন থাকলে এটাও ভালো ভাবে ক্লীন করে রাখবেন। ওভেন বিপদের বন্ধু, সময় বাঁচায় আলহামদুলিল্লাহ্‌। মাংসের ইদ বলে কথা। ওভেন আরো বেশি ব্যবহৃত হবে বারবার মাংস গরম করার জন্য। তাছাড়া গ্রীল, কাবাব অনেক খাবারই হয়তো ওভেনে তৈরি হবে। তাই ওভেনটা পরিস্কার থাকা জরুরি।

🔲 মশলাপাতিঃ
—————–
কুরবানীর ইদে বিভিন্ন রকম মশলা বেশি ব্যবহৃত হয়। ইদের কয়েক দিন আগেই পিঁয়াজ, রসুন, আদা এসব কাঁচা মশলা কিনে ফেলবেন বাটা বা ব্লেন্ড করে রাখার জন্য। এছাড়া দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা, জায়ফল,জয়ত্রী,গোলমরিচ, শাহীজিরা,পোস্তদানা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, জিরা গুঁড়ো, ধনে গঁড়া, গরম মশলা গুঁড়া, কাবাব মশলা ইত্যাদি কেনার পর সুন্দর ভাবে নির্দিষ্ট জার, বয়ামে গুছিয়ে রাখবেন। নাম লিখে রাখবেন প্রয়োজনের সময় যেন সহজেই পেতে পারেন।

🔲 অন্যান্যঃ
———— 
মশলা পাতি ছাড়া ও বিভিন্ন রকম রান্নার জন্য বিভিন্ন সস রেডী করে রাখতে পারেন। বোরহানীর জন্য টক দই, পুদিনা পাতা, সালাদের জন্য শসা, গাজর, টমেটো, লেটুস পাতা, ধনে পাতা, কাঁচা মরিচ, লেবু ইত্যাদি বেশি দিন আগে না হলে ও ইদের দুএকদিন আগেই কিনে ফেলতে পারেন। এছাড়া নিজেদের জন্য বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য পাস্তা, নুডলস, সেমাই, পোলাওর চাল, বাদাম, কিসমিস এগুলি কিনে রাখতে পারেন।

🔲 মশলা ব্লেন্ড করাঃ
———————–
আদা, রসুন, পেঁয়াজ এক মাসের জন্য বা পনের দিনের জন্য বেটে অথবা ব্লেন্ড করে রাখবেন। একটু সয়াবিন তেল মেখে রাখলে ভালোও থাকবে, রংটাও সুন্দর থাকবে।

🔲 দা,বটি,ছুরি কেনা ও ধার করানোঃ
———————————————-
ইদের আগে পাড়া মহল্লায় অনেক দা-বটি ধার করানোর লোক পাওয়া যায়। ইদের সময় মাংস ও শক্ত হাড় কাটতে হয় দা, বটি ও ছুরি দিয়ে। তাই এগুলো আগে থেকেই ধার করিয়ে নেয়া উচিত। নাহলে মাংস কাটা ঝামেলা হয়ে যাবে। এছাড়া যাদের ঘরে প্রয়োজনীয় ছুরি, চাপাতি নেই তারাও প্রয়োজন মনে করলে কিনে ফেলতে পারেন।

🔲 পাটি বা বড় পলিথিনঃ
——————————
গরু জবাই করার পর মাংস কেটে রাখার জন্য পাটি বা বড় সাইজের পলিথিন কিনে রাখতে পারেন। এছাড়া তেরপল ও ইউজ করতে পারেন। মাংস মাপার সুবিধার জন্য প্রয়োজন বোধে স্কেল কিনে রাখতে পারেন।

🔲 ব্যাগ ও পলি ব্যাগ রেডী রাখাঃ
—————————————-
কুরবানির ইদ মানেই তো প্রচুর ব্যাগের প্রয়োজনীয়তা। আত্মীয় স্বজন আর দরিদ্র, মিসকীনকে মাংস পাঠানোর জন্য, সেই সাথে ফ্রীজে মাংস রাখার জন্য। কারন সবাইকে দেয়ার পর ও দেখা যায় নিজেদের জন্য যথেষ্ট মাংস থাকে। আর এই জন্য প্রয়োজন প্রচুর ব্যাগ। আগে থেকেই এই ব্যাগ রেডী করে না রাখলে ঈদের দিন বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এছাড়া মাংস, কলিজা, মগজ, মাথা ইত্যাদি আলাদা আলাদা ভাবে রাখার জন্যও প্রয়োজন উপযুক্ত পলিব্যাগ। তাই ইদ আসার আগেই ইদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাগ যোগাড় করে ফেলুন। তাহলে ইদের সময় সমস্যায় পড়তে হবে না। কারণ ইদের দিন বেশিরভাগ দোকানই বন্ধ থাকে।

🔲 ক্রোকারিজ বা বড় পাতিলঃ
————————————-
ইদে অনেকেই অতিথি আপ্যায়নের জন্য নতুন নতুন ক্রোকারিজ কেনেন। আপনি শপিং সেন্টারে বা পথে ইদের ভীড় এড়াতে চাইলে এখনি কিনে ফেলুন। এসময় মাংস রান্নার জন্য বড় পাতিলের প্রয়োজন হয়। না থাকলে প্রয়োজন মনে করলে নিয়ে নিন। আর মাংস, কলিজা, পায়া এগুলি নেয়ার জন্য প্রয়োজন বোধে প্লাস্টিকের ডিশ, গামলা, বালতি এগুলি কিনে রাখতে পারেন।

⬛ ইদের দিন বা ইদের পরবর্তী দিনের প্রস্তুতিঃ
————————————————————
কুরবানির দিনটি হল ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়েও মর্যাদাসম্পন্ন। এ দিনটি বছরের শ্রেষ্ঠ দিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহর নিকট দিবস সমূহের মাঝে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হল কোরবানির দিন, তারপর পরবর্তী তিনদিন।” (আবূ দাউদ:১৮৬৫)
এ দিনে সালাত ও কুরবানি একত্র হয়। যা ইদুল ফিতরের সালাত ও সাদাকাতুল ফিতরের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।

🔲 ইদের দিন করণীয়ঃ
————————–

পবিত্র ইদের দিনে নারী পুরুষ জন্য উভয়ের জন্য গোসল করে, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে সুন্দর পোশাক পরা উত্তম। নারীদের জন্য ইদগাহে যাওয়া বৈধ। তবে কোন প্রকার পারফিউম ও সৌন্দর্য প্রদর্শন পরিহার করে। পুরুষরা আতর বা অন্য পারফিউম ব্যবহার করতে পারবেন। তবে আতর ব্যবহার করা উত্তম। তাকবীর পড়া অব্যাহত রাখতে হবে।

ইদের দিন সম্ভব হলে হেঁটে হেঁটে ইদগাহে যেতে হবে। বৃষ্টি বা অন্য কোন সমস্যা না থাকলে ইদগাহতেই সালাত আদায় করা ও খুতবায় অংশ গ্রহণ করা সুন্নত। ইদের সালাত ওয়াযিব। এটাই ইবনে তাইমিয়া বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন,

“অতএব তোমরা রবের উদ্দেশ্যেই সালাত পড় এবং নহর কর।” (কাউসার : ২)

উপযুক্ত কোন কারণ ছাড়া ইদের সালাতের ওয়াযিব রহিত হবে না। মুসলমানদের সাথে নারীরাও ঈদের সালাতে অংশগ্রহণ করবেন।

ইদের দিন একে অন্যকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো, উত্তম কথা বলা, দুআ করা ভ্রাতৃত্বের সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যম। তবে ইসলাম বিরোধী কোন কাজ ইদের দিন না করাই অধিক উত্তম।

🔲কুরবানী করাঃ
——————-

ইদুল আযহার দিনের অন্যতম আমল হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কুরবানি করা। কুরবানী করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। সামর্থ থাকা সত্বে তা ত্যাগ করা মাকরুহ্। ইদের দিন ইদের সালাতের পর কুরবানী করা সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,

“যে ব্যক্তি ইদের আগে যবেহ করল, তার উচিত তার জায়গায় আরেকটি কুরবানী করা। আর যে এখনো কুরবানী করেনি, তার উচিত এখন কুরবানী করা। (বুখারী ও মুসলিম) কুরবানী করার সময় চার দিন। অর্থাৎ নহরের দিন এবং তার পরবর্তী তাশরীকের তিন দিন।
যেহেতু রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
“তাশরীকের দিন কুরবানীর দিন।”
(সহীহ হাদীস সমগ্র : ২৪৬৭)

🔲 মাংস বন্টন করাঃ
————————————–

কুরবানী পেশকারী ব্যক্তির জন্য সুন্নত হচ্ছে কুরবানীর মাংস নিজে খাওয়া, আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের হাদিয়া দেয়া এবং গরীবদের সাদাকা করা। আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’আলা বলেন,

“অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুস্থ-দরিদ্রকে থেকে দাও।” (হজ্জ : ২৮)
তিনি আরো বলেন,

“তখন তা থেকে খাও। যে অভাবী, মানুষের কাছে হাত পাতে না এবং যে অভাবী চেয়ে বেড়ায়-তাদেরকে খেতে দাও।” (সূরা- হজ্জ : ৩৬)

🔲 কুরবানীর মাংস খাওয়াঃ
———————————
ইদুল আযহার দিন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) খাবার খেতেন না, যতক্ষণ না তিনি ঈদগাহ থেকে ফিরে আসতেন। অতঃপর তিনি কুরবানীর মাংস থেকে খেতেন।

🔲 ফ্রীজে রাখাঃ
—————— 
আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশী, দরিদ্র, মিসকীন সবাইকে দেয়ার পর মাংস ফ্রীজে রাখার ব্যবস্থা করবেন। মগজ, কলিজা, মাথা বা অন্য কিছুর জন্য বিশেষ পলিব্যাগ নিবেন বা কাগজে নাম লিখে পলিব্যাগে দিতে পারেন। কারণ মাংস জমাট বেঁধে গেলে অনেক সময় বোঝা যায় না ভেতরে কি আছে। তাই ঝামেলা এড়াতে ট্যাগ করে রাখাই বেটার।

🔲 অতিথি আপ্যায়নঃ
—————————-
অতিথিদের জন্য কি কি রান্না করবেন আগেই ঠিক করে রাখলে অতিথি এলে আর চিন্তা করতে হয় না। তাছাড়া রান্নার কিছু প্রিপারেশন ও আগে করে রাখা যায়। অতিথি আপ্যায়নের আগেই সব ক্রোকারিজ ধুয়ে ঢেকে রেডী করে রাখতে পারেন।

★আরো কিছু প্রয়োজনীয় বিষয়ঃ
——————————————–

বোনরা বাবা, ভাই বা হাজব্যান্ড কে মনে করিয়ে দিতে পারেন দা, বটি ধার করানোর কথা। ছুরি, বড় পলিথিন, বিভিন্ন ব্যাগ বা বড় পলিব্যাগ উনাদের বলে আগে এনে রাখবেন। রিমাইন্ডারটা এজন্যই কোন এক ইদে আমি পলিব্যাগ কেনার কথা ভুলে গিয়েছি। মাংস রেডী হওয়ার পর পলিব্যাগের কথা মনে পড়লো। ঝটপট একজনকে বাজারে পাঠানো হলো। কিন্তু যা হওয়ার তাই হলো তখন সব দোকান বন্ধ। এরপর কি আর করা..! ঘরের সব সেল্ফ, ড্রয়ার, কন্টেইনার তন্নতন্ন করে খুঁজে কিছু আটা, ময়দার, কিছু সেমাই, নুডলসের, কিছু মুড়ি, চিনির প্যাকেট যোগাড় হলো। অগত্যা কষ্ট করে সেগুলিতে রাখতে হলো। এজন্য এখন বোনদের সে সাথে নিজের রিমাইন্ডারের জন্য আবার লেখা।

🔲 ঘরের কিছু সদস্য থাকতে পারেন শত বলার পরও ডাইনিং এর টাওয়েল এ হাত না মুছে বাথ টাওয়েল এ খাওয়ার পর হাত মুছেন। ওদের তেলচর্বি যুক্ত হাত থেকে বাথ টাওয়েলকে বাঁচাতে হলে এক্সট্রা দু/তিনটা ছোট টাওয়েল কিনে রাখতে পারেন। অথবা কিচেন টাওয়েল হাতের কাছে রাখবেন।

🔲 অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ডিশ ক্লীনার বা বার যথেষ্ট পরিমাণে আছে কিনা। কারণ তেল, চর্বির জন্য এগুলি এ ইদে বেশি প্রয়োজন হয়।

🔲 যারা ডায়াবেটিক বা প্রেসারের পেশেন্ট , অথবা যাদের জন্য গরুর মাংস ক্ষতিকর তারা সাবধানতার সাথে পরিমাণ মতো মাংস খাবেন। কখনোই বেঁধে দেয়া পরিমাণের অতিরিক্ত খাবেন না। যতটুকুই খান না কেন সবসময় ঔষধ রেডী রাখবেন এবং সময় মতো খাবেন।

🔲 শত নিষেধ সত্ত্বেও দেখা যায় অনেকে বেশি মাংস খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এজন্য বাসায় বেশি পরিমাণে ওরস্যালাইন বা হালকা ঔষধ রাখতে ভুলবেন না।

🔲 লেবু খাওয়ার পর এর কিছুটা খোসা ও চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে পারেন। লেবু পানি বেশি বেশি খাবেন। এছাড়া শসা ও মাংসের সাথে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এগুলি চর্বি জমতে বাধা দেবে।

🔲 টকদইটা বাসায় রাখবেন। বোরহানী বানিয়ে খেতে পারবেন। নাহলে এমনিতেই টকদই খেয়ে নেবেন। অনেক ভালো লাগবে।

সবাইকে ইদের অগ্রিম শুভেচ্ছা ও দুআ….
সবার ইদ সুন্দর, আনন্দময় হোক, আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুন।

সবার কুরবানী যেন আল্লাহ্ কবুল করেন সে দুআও রইলো।

পশু কুরবানীর সাথে যেন আমরা সবাই আমাদের নফসের ক্ষতিকর দিকগুলি ও কুরবানী দিতে পারি মহান আল্লাহ্ যেন আমাদের সবাইকে সে তৌফিক দান করেন।
আমিন….

গৃহিণীর ইদ প্রস্তুতি 
ইসমত কণক

অগাস্ট ০৭, ২০১৯ইং